জুলাইয়ের ব্যস্ত মুক্তির ক্যালেন্ডারে আলোচনায় না থাকলেও, চুপিসারে নিজস্ব জায়গা করে নিচ্ছে এক রোমান্টিক ছবি—মোহিত সুরির সাইয়ারা। ১৮ জুলাই মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ছবিটি এখনো বড় মাপের ব্লকবাস্টারের তকমা পায়নি, কিন্তু ক্রমেই তৈরি হচ্ছে আশার আলো। সারা সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে একটা কথাই ঘুরছে—এই ছবি হতে পারে বছরের সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত চমক।
দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে একদম নতুন এক জুটি—আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডা। তাঁদের কেমিস্ট্রি ইতিমধ্যেই সিনেমাপ্রেমীদের কৌতূহল বাড়িয়েছে। বড় তারকা নয়, বরং নতুন মুখ, আন্তরিক অভিনয় আর সুরের আবেগ দিয়েই তৈরি হচ্ছে সাইয়ারা-র আবহ।
মোহিত সুরি মানেই গান, আর সেই জায়গাতেই ছবিটি দিয়েছে সবচেয়ে বড় চমক। ইতিমধ্যেই রিলিজ হওয়া চারটি গান রোমান্সপ্রেমী শ্রোতাদের মনে এনে দিয়েছে পুরনো দিনের বলিউডের সুবাস। কারও মনে পড়েছে আশিকি ২, কারও মনে বাজছে তুম হি হো। গানগুলোয় রয়েছে ২০০০-এর দশকের সেই হারানো সুরের আবেশ, যা একদিকে মিলেনিয়ালদের টানে, আবার অন্যদিকে নতুন প্রজন্মকেও মোহিত করে।
মোহিত সুরির ক্যারিয়ার ঘাঁটলেই বোঝা যায়, তিনি হৃদয়ের গল্প বলতে জানেন। আশিকি ২, এক ভিলেন, মালাং—সব ছবিতেই তিনি গান আর আবেগকে একসূত্রে বেঁধে দিয়েছেন। সাইয়ারা-তেও সেই ধারা বজায় থাকায় আশার জায়গা তৈরি হয়েছে। এমনকি এই রিমিক্স-নির্ভর যুগে যেখানে আসল গান যেন হারিয়েই যাচ্ছিল, সেখানে এই ছবির অ্যালবাম যেন এক ধনসম্পদ।
তবে প্রশ্ন উঠছে—এই ভালোবাসা কি বক্স অফিসে রূপ নেবে সাফল্যে? তার সম্ভাবনা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফ্রেশ জুটি, গাননির্ভর রোমান্স, আর জেনারেশনের সঙ্গে রেজোনেট করা আবেগ—সব মিলিয়ে সাইয়ারা হতে পারে সেই সিনেমা, যা ধীরে ধীরে দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়।
তবে ঝুঁকিও কম নয়। নেই কোনো বড় তারকা, প্রচারও কম। সঙ্গে রয়েছে ওটিটির যুগে রোমান্টিক ঘরানার কিছুটা ক্লান্তি। কিন্তু সিনেমার ইতিহাস বলে—প্রথম দিনের ঝড় নয়, বরং ধীরে ধীরে শ্রোতাদের মনে ঢুকে যাওয়া ছবিই হয় আসল ‘স্লিপার হিট’। আর সেই সম্ভাবনা সাইয়ারা-র মধ্যে প্রবলভাবে জাগছে।
মোহিত সুরি কি আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন হারিয়ে যাওয়া প্রেমের জাদু? উত্তর মিলবে ১৮ জুলাই। তবে এখনই একটা কথা বলা যায়—এই ছবি হৃদয়ে বাজতে পারে, ঠিক যেমন এক সময় বাজত তুম হি হো।
এসএন