বাংলাদেশে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম এখনো মাঠে গড়ায়নি। ক্লাবগুলোতে ক্যাম্প শুরু হয়নি। অনুশীলন না থাকায় ফুটবলাররা ছুটিতে। জাতীয় দলের ফুটবলার সাদ উদ্দিন এই সময়ে আমেরিকা সফর করছেন। গতকাল ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালও মাঠে বসে উপভোগ করেছেন।
প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে বিশ্বকাপের আদলে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ফিফা। আসরের ফাইনালে উপস্থিত থাকতে পেরে বেশ রোমাঞ্চিত সাদ উদ্দিন, 'এই সময় জাতীয় দল ও ক্লাবের খেলা-অনুশীলন নেই। সুযোগ ছিল খেলা দেখার এবং এমন একটি আসরের ফাইনাল মাঠ থেকে দেখতে পেরে আসলেই খুব ভালো লাগছে। '
ফিফার আসরের ফাইনাল ম্যাচের টিকিট পাওয়া অনেক কঠিন। তাই আগেভাগেই টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার, ‘আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল এই ক্লাব বিশ্বকাপ দেখার। আমার মামা (আমেরিকা প্রবাসী) অনেক সহায়তা করেছেন।’
আগামী বছর নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামেই ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ম্যাচে ৮২ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল।
স্টেডিয়ামের উন্মাদনা নিয়ে সাদ উদ্দিন বলেন,' রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ফুটবলপ্রেমী অনেকেই স্টেডিয়ামমুখো ছিলেন। খেলা শুরুর ঘণ্টা খানেক আগেই গ্যালারি পরিপূর্ণ ছিল। প্রতিটি গোল ও আক্রমণের সময় ভিন্ন রকম উন্মাদনা ছিল। খেলা শেষে স্টেডিয়াম থেকে বের হতেও ঘণ্টাখানেক সময় লাগছে।'
পিএসজি ও চেলসির মধ্যকার ফাইনালে অনেকের ধারণা ছিল পিএসজির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চেলসি সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে অভিষেক আসরে শিরোপা জিতেছে। ফাইনাল খেলা নিয়ে বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার বলেন,‘আমি মূলত লিভারপুলের সমর্থক। লিভারপুল নেই তাই ইংল্যান্ডের চেলসিকে সমর্থন করেছি। ফাইনালের প্রথমার্ধ বেশ উপভোগ্য ছিল।’
২৪ জুন আমেরিকা সফরে যান সাদ। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখে আগামী পরশু দিন দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন ফুটবলারের আমেরিকান ভিসা নেওয়া আছে বলে ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় কিংবা ফুটবলে সুবিধাজনক অবস্থানে না থাকতে পারলে প্রবাসী হওয়ার চিন্তাও আছে অনেকের।
এমআর/টিকে