জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে টেস্ট ক্রিকেটে স্মরণীয় এক দিন উপহার দিলেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ান পেসারের অসাধারণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ইনিংসে ২৭ রানে গুটিয়ে যায়, যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। ফলে ১৭৬ রানে জিতে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে শূন্যে শেষ করল অস্ট্রেলিয়া।
স্টার্কের এই ম্যাচেই এল বিশেষ মাইলফলক—৪০০ টেস্ট উইকেট। নিজের ১০০তম টেস্টে এই অর্জনকে আরও স্মরণীয় করে তুললেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলেই তুলে নিলেন উইকেট, এরপর এক ওভারে টানা দুটি শিকার করে চমক জাগালেন। মাত্র ১৫ বলে পাঁচ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে ফিফারের রেকর্ড গড়লেন। পরে ছয় উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন নয় রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৪ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও মাত্র ১২১ রানে শেষ হয়েছিল। কিন্তু জবাবে স্টার্কের আগ্রাসী বোলিংয়ে ম্যাচের রূপ বদলে যায়। শুরুর তিন ওভারেই তিনি চার উইকেট নেন বিনা রানে। এরপর শাই হোপকে এলবিডব্লিউ করে নিজের পঞ্চম শিকার সম্পন্ন করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণে আরেক চমক ছিল স্কট বোল্যান্ডের হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে বোল্যান্ড দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আলজারি জোসেফও আলো ছড়িয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজের সেরা বোলিং ফিগার তুলেছেন। শামার জোসেফও নিয়েছেন চার উইকেট, সিরিজে তার উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি ছিল নিখুঁত এক সফর। বার্বাডোস ও গ্রেনাডায় আগের দুই জয়ে সিরিজ পকেটে পুরে নেওয়ার পর জ্যামাইকাতেও ছন্দে ছিল দল। যদিও প্রথম ইনিংসে স্টার্ক মাত্র এক উইকেট পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের অভিজ্ঞতা ও গতির ঝলক দেখিয়ে দলের হয়ে বড় অবদান রাখলেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরি ইনজুরির কারণে না খেললেও জশ ইংলিস দায়িত্ব সামলান দক্ষতার সঙ্গে।
স্টার্কের এই অনন্য বোলিং পারফরম্যান্স শুধু ম্যাচ নয়, সিরিজকেই স্মরণীয় করে রাখল অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের জন্য।
আরআর