যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি রাশিয়া যদি শান্তিচুক্তিতে সম্মত না হয়, তবে রুশ পণ্য কেনা দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। মস্কোর অব্যাহত হামলার প্রতি হতাশা থেকে তার এই বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন এসেছে।
তবে ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার হুমকির সঙ্গে ৫০ দিনের একটি গ্রেস পিরিয়ড রাখা হয়েছে, যা রাশিয়ার জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে। এতে রুবলের দরপতন রোধ হয়েছে।
হোয়াইট হাউজে নাটো সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে-র সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি হতাশ এবং ইউক্রেনের জন্য বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র সহায়তা ঘোষণা করেন।
ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়া হবে, যা তারা বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছিল। সম্পূর্ণ সেটসহ ব্যাটারি পাঠানো হবে।
ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া যদি ৫০ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে না আসে, তবে রুশ পণ্য আমদানিকারক দেশগুলোকে সেকেন্ডারি ট্যারিফ বা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ৫০ দিনের মধ্যে যদি সমাধান না হয়, তাহলে সরাসরি ১০০ শতাংশ ট্যারিফ বসবে।
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা জানান, এই ট্যারিফ কেবল রাশিয়ার ওপরই নয়, যেসব দেশ রুশ পণ্য (বিশেষ করে তেল) কিনছে, তাদের ওপরও প্রয়োগ হবে।
বর্তমানে মার্কিন সিনেটের ১০০ সদস্যের মধ্যে ৮৫ জন একটি বিল সমর্থন করছেন, যা ট্রাম্পকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ আরোপের ক্ষমতা দেবে এমন দেশগুলোর ওপর যারা রাশিয়াকে সাহায্য করছে।
এফপি/ টিকে