গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সদলবলে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল ও মহড়া দেওয়া বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের বৃন্দাবন এলাকা থেকে দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় তিনি ওই সন্ত্রাসীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার তেলিহাটী এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ওই ঘটনার পর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এমসিবাজার এলাকায় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে সদলবলে মিছিল ও মহড়া দেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে সেখানে পথসভা করে তিনি বাজারটি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন। ওই সময় বাজারটির অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাও আদায় করেন জাহাঙ্গীর আলমসহ তার সহযোগীরা। মুহূর্তে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আলাদা দুইটি মামলা হয়। একটি মামলায় আদালত থেকে জামিন নিলেও আরেকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বিএনপির কর্মী হতে পারে না। জাহাঙ্গীর আলম বাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে। দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল ও মহড়া দিয়েছে। বিএনপি এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে-জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করেছে। তার (জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিএনপির ওই নেতা জানান, আজ বুধবার বেলা প্রায় ১১টার দিকে নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, জাহাঙ্গীর আলম টেপিরবাড়ী গ্রামের বৃন্দাবন এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। পরে সেখান থেকে স্থানীয় জনতা ও নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে কোনো মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুলুমবাজ, জবরদখলকারীর জায়গা হবে না।’
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমসিজাবারে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও মাইকে ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আলাদা দুইটি মামলা হয়। একটি মামলায় আদালত থেকে জামিন নিলেও আরেকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো সাতটি মামলা রয়েছে।’