জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব নিয়মিতই নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে, আবার সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কিছু পুরোনো ফিচার বন্ধও করে দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বন্ধ হচ্ছে বহুদিনের পরিচিত ‘ট্রেন্ডিং’ বিভাগ। ইউটিউব জানিয়েছে, আগামী ২১ জুলাই থেকে এই ফিচারটি আর থাকছে না, কারণ এটি এখন আর ব্যবহারকারীদের কাছে আগের মতো জনপ্রিয় নয়।
প্ল্যাটফর্মটির দাবি, বর্তমানে দর্শকরা ভিডিও ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে একক তালিকার পরিবর্তে বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন, রিকমেন্ডেশন, সার্চ সাজেশন, সাবস্ক্রিপশন ফিড, কমিউনিটি ট্যাব ও মন্তব্য ঘরের মাধ্যমেই পছন্দের কনটেন্ট খুঁজে নিচ্ছেন। ফলে ট্রেন্ডিং বিভাগ আর আগের মতো প্রয়োজনীয়তা বহন করছে না।
ইউটিউব এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৫ সালে আমরা যখন ‘ট্রেন্ডিং’ চালু করি, তখন ভাইরাল ভিডিও মানেই ছিল এমন কিছু, যা সবাই একসঙ্গে দেখছেন। তখন একটি তালিকাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখন ফ্যান বেস ও কমিউনিটি নির্ভর নানা ‘মাইক্রো-ট্রেন্ড’ তৈরি হচ্ছে, যা একটি মাত্র তালিকায় তুলে ধরা সম্ভব নয়।
ট্রেন্ডিং বিভাগ সরিয়ে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের জন্য চালু থাকবে ‘ইউটিউব চার্টস’। ২০১৮ সালে চালু হওয়া এই ফিচারে দেখা যাবে,ট্রেন্ডিং মিউজিক ভিডিও, সাপ্তাহিক শীর্ষ পডকাস্ট এবং আলোচিত সিনেমার ট্রেলার। ইউটিউব জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এতে আরও বিভাগ যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউটিউবের অ্যালগরিদম-ভিত্তিক ভিডিও সাজেশন এখন ব্যবহারকারীদের প্রধান ভরসা। গত পাঁচ বছরে ট্রেন্ডিং পেজের দর্শকসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তার বদলে দর্শকরা এখন ভিডিও খুঁজছেন স্বয়ংক্রিয় রিকমেন্ডেশন, চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন, এবং সার্চ রেজাল্টের মাধ্যমে।
এক বিবৃতিতে ইউটিউব আরও জানায়, আমরা এখন দর্শকদের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও দেখাতে চাই, যাতে তারা সহজেই নিজেদের আগ্রহের বিষয়বস্তু খুঁজে পান। তাই আমরা আরও প্রাসঙ্গিক ও ব্যক্তিগতকৃত ভিডিও প্রদর্শনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।
ইউটিউব নির্মাতাদের জন্যও চালু করেছে নতুন কিছু টুলস ও ফিচার। এর মধ্যে রয়েছে:
১. ইন্সপেরেশন ট্যাব: ইউটিউব স্টুডিওতে এই ট্যাবে চ্যানেল অনুযায়ী নতুন ভিডিও আইডিয়ার পরামর্শ পাওয়া যাবে।
২. হাইপ ফিচার: নতুন ও উদীয়মান নির্মাতাদের ভিডিও বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
৩. ক্রিয়েট অন দ্য রেইস: ইউটিউবের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া ও চ্যানেলে উদীয়মান নির্মাতাদের তুলে ধরা হবে।
৪. ইউটিউবের এই পরিবর্তন তাদের দর্শক অভ্যাস ও প্রযুক্তির বিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার একটি প্রয়াস। ২০১৫ সালের তুলনায় এখন ইউটিউব শুধু
৫. অপেশাদার ভিডিওর জায়গা নয় এটি একটি বৃহৎ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পেশাদার নির্মাতাদের কনটেন্টের প্রতিযোগিতা চলছে।
কেএন/এসএন