বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের প্রেক্ষাপটে তাদের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এই সিদ্ধান্তে কোনো রাজনৈতিক চাপের ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন কমিশনের সিনিয়র সচিব আক্তার আহমেদ।
বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আক্তার আহমেদ বলেন, “কোনো চাপে নয়, বরং জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতেই ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
শিডিউলে প্রতীকটি থাকলেও এটি কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।”
গত ১২ মে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর পরপরই ইসি দলটির নিবন্ধন স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
তবে নিবন্ধন স্থগিত হলেও বেশ কিছুদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দলটির নাম ও প্রতীক ‘নৌকা’ দৃশ্যমান ছিল। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
এই প্রসঙ্গে আক্তার আহমেদ বলেন, “নৌকা প্রতীক নিয়ে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। বিভ্রান্তি দূর করতেই এটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। দলটির নিবন্ধন স্থগিত থাকায় কেউ এই প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো গোপন চাপে নয়, শুধুমাত্র পরিষ্কার বার্তা দিতে এবং বিভ্রান্তি রোধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
আক্তার আহমেদ জানান, “গ্যাজেটে নৌকা প্রতীক এখনও তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে যেহেতু আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে, সেহেতু নৌকা প্রতীক সংরক্ষিত থাকলেও তা বর্তমানে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।”
এর আগে, নৌকা প্রতীক শিডিউলে রাখার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়। এছাড়া ইসির অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনামূলক স্ট্যাটাস দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে চলমান বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে ওয়েবসাইট থেকে প্রতীক সরানোর ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসি। কমিশনের ভাষ্যে এটি একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ, কোনো রাজনৈতিক চাপ বা ষড়যন্ত্র নয়।
এমকে/টিএ