নওগাঁয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নওগাঁয় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতীকী ম্যারাথন। জেলা প্রশাসন নওগাঁ এই ম্যারাথনের আয়োজন করে।


আজ (শুক্রবার) সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে সেখান থেকে শুরু হওয়া এই প্রতীকী ম্যারাথন শহরের নওজোয়ান মাঠে গিয়ে শেষ হয়।


শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এ ম্যারাথনে বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী কলেজ শিক্ষার্থী জান্নাত আরা রুমি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের স্মরণে এই মারাথনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আমরা আরো চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যে আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছে সেটি যেন বিনষ্ট না হয়। আমরা জুলাইকে ধারণ করে এবং জুলাইকে সামনে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। সকল বৈষম্য পেছনে ফেলে আগামীর বাংলাদেশ সুখি ও সমৃদ্ধি হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নওগাঁর জেলার প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আমরা মাস ব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য নিয়ে এই প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন। যেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মনের ভিতরে এক ধরনের জাগরণ নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করে এবং ম্যারাথনটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এই প্রতীকী ম্যারাথনের মাধ্যমে সকালের যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সেটি অংশগ্রহণকারীরা দেখতে পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের তাগিদ থেকেই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জুলাইয়ে সাহসী ভূমিকা রেখে যুদ্ধ করেছিলেন এ দেশের মানুষ। সেই যুদ্ধে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের সামনে রেখে আমাদেরও আগামীর পথ চলতে হবে।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়ন নিয়ে দুই উপদেষ্টার আলোচনা Jul 18, 2025
img
২০২৮ অলিম্পিক ক্রিকেটে কে খেলবে? সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসির ওয়ার্কিং গ্রুপ Jul 18, 2025
img
পিআর পদ্ধতি খায়, না মাথায় দেয়; কেউ বোঝে না : সালাহউদ্দিন Jul 18, 2025
img
অন্যান্য দেশের নির্বাচনে মন্তব্য না করার পরামর্শ ট্রাম্পের Jul 18, 2025
img
ক্রিকেট থেকে রাগবিতে, অধিনায়ক হয়ে ইতিহাস গড়লেন অলিভিয়ের Jul 18, 2025
img
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস Jul 18, 2025
‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ রোগে আক্রান্ত ট্রাম্প Jul 18, 2025
img
ঐক্য বিনষ্ট হলে কী হয় তার আলামত পাওয়া যাচ্ছে : ডা. জাহিদ Jul 18, 2025
img
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে দূত রদবদল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার Jul 18, 2025
img
দায়িত্ব পালন না করে শুধু শোষণ করেছে আওয়ামী লীগ : মোস্তফা জামান Jul 18, 2025
img
এখন থেকে মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 18, 2025
img
ম্যাচ জিতেও আর্থিক ক্ষতির মুখে ইংল্যান্ড Jul 18, 2025
img
সমাবেশকে ঘিরে যানজট-ভোগান্তির জন্য আগাম ক্ষমা চাইলো জামায়াত Jul 18, 2025
img
যেদিন যেভাবে শেখ মুজিবর রহমানের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান Jul 18, 2025
img
টক শো'তে আজ রাতে জায়েদ খানের অতিথি দীঘি Jul 18, 2025
img
১২ বছর পর স্টেডিয়ামে ফিরলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা Jul 18, 2025
img
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল শোধানাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইইউ’র Jul 18, 2025
img
‘লড়াই-প্রতিরোধে মানিকগঞ্জ একধাপ এগিয়ে থাকলেও উন্নয়নে পিছিয়ে’ Jul 18, 2025
মুজিববাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে Jul 18, 2025
img
হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : রাষ্ট্রদূত মুশফিক Jul 18, 2025