সাদামাটা সাদা সুতির শাড়ি, কপালে ছোট টিপ, লম্বা বিনুনি, কানে বড় হেডফোন—এই রূপে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখে এক মুহূর্তের জন্য চিনে নেওয়া কঠিন। যেন ফিরে যাওয়া এক অতীতের দিনে। পর্দায় ফিরলেন এক নতুন ভূমিকায়, এবার তিনি রেডিও উপস্থাপক এবং লেখিকা—‘বেলা দে’।
স্বাধীনতা-পরবর্তী এক সময়ের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে এই ছবির কাহিনি। নারীরা যখন নিজের মত প্রকাশ করতেও দ্বিধাগ্রস্ত, সেই সময় বেলা দে ছিলেন ঠিক তার উল্টো স্রোতে। সাহস, স্বপ্ন আর নিজের পরিচয় গড়ে তোলার লড়াই—এই সবকিছুর গল্পই বলা হবে বড় পর্দায়।
পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের এই নতুন ছবি বেলা দে-র জীবনীচিত্র। যেখানে শুধু এক নারীর জীবন নয়, উঠে আসবে একটি সময়ের ছবি। উঠে আসবে দেশভাগের স্মৃতি, সমাজে নারীর অবস্থান এবং সেই সব চ্যালেঞ্জ—যা আজকের তরুণ প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারে না।
ছবির প্রথম ঝলকে দেখা গেছে ঋতুপর্ণাকে এক মধ্যবিত্ত নারীর সহজ-সরল সাজে। যেন এক জীবন্ত চরিত্র, যাঁর কণ্ঠ ভেসে আসে রেডিওর বাতাসে। যিনি কলমে তুলে ধরেন সমাজের না বলা কথা।
ছবির প্রযোজনা করেছে ‘গ্রেমাইন্ড কমিউনিকেশন’। গল্পের বড় একটি অংশ জুড়ে আছে রান্না, আর সেই সূত্র ধরেই জানা গেল, ঋতুপর্ণা নিজেও রান্না করতে ভালোবাসেন। যদিও সময়ের অভাবে তা করে ওঠা সম্ভব হয় না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
এই ছবিতে ঋতুপর্ণার সঙ্গে আরও দেখা যাবে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও ভদ্রা বসুকে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছবির ঘোষণা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির দিন ঠিক হয়েছে ২৯ অগস্ট।
ছবিটি শুধু একটি নারীর জীবনের গল্প নয়, বরং একটি সময়ের, একটি সমাজের গল্প।
এসএন