লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঐতিহাসিক আর ঐতিহ্যবাহী এক স্টেডিয়ামের ছবি। কেউ কেউ বলেন ক্রিকেটের মক্কা আবার কারও কারও কাছে ক্রিকেটের তীর্থস্থান। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, ক্রিকেট ইতিহাসে গৌরবের একটি স্থান দখল করে আছে লন্ডনে অবস্থিত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামটি খাবারের জন্যও কম প্রসিদ্ধ নয়। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চমকপ্রদ সেই তথ্যই। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন ক্রিকেট ভেন্যুর ক্যাটারিং (খাবারের ব্যবস্থা) সবচেয়ে ভালো। প্রায় সবাই এ ব্যাপারে সম্মত ছিল –লর্ডসের খাবারের ধারেকাছেও আর কোনো গ্রাউন্ড যায় না।
লর্ডসে বিশাল চিংড়িগুলোর স্বাদ এখনো যেন মুখে লেগে আছে হিদার নাইট এবং কাইল জেমিসনের। ইংলিশ এক নারী ক্রিকেটার তো অভিযোগের সুরেই বলছিলেন –লর্ডসে খাবার কখনোই যথেষ্ট পরিমাণে থাকে না!
ভারত বনাম স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল লর্ডসে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর পক্ষ থেকে মিডিয়া বক্সে কী খাওয়ানো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবেদকের মন্তব্য, খাবারের যা অবস্থা, অবাক লাগে যে সেখানে আদৌ ক্রিকেট খেলা হয় বা কেউ কাজ করতে পারে!
জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুরে থাকে মাংস ও নিরামিষ –দুই ধরনের মেইন ডিশ, সঙ্গে থাকে অসাধারণ সব সালাদ, যা দিয়ে পুরো প্লেট ভরিয়ে ফেলা যায়। পুরো সপ্তাহ জুড়ে আমরা দারুণ কিছু কারি পেয়েছি, যার মধ্যে তৃতীয় দিনে ছিল রেলওয়ে ল্যাম্ব কারি (ভারতের জনপ্রিয় ভেড়ার মাংস)। আরও ছিল কেরালা স্টাইলে রান্না করা হাঁসের পা – মুখে পানি আনা এক বিকল্প পছন্দ। চতুর্থ দিনে পরিবেশন করা হয়েছিল এক জমজমাট রোস্ট।"
আর শুধু তাই নয় – বিকেলের চায়ের মেনুতে ছিল এক চিজ বোর্ড (সাধারণত ৩-৫ ধরনের চিজ রাখা হয়), নিখুঁতভাবে বানানো ফিঙ্গার স্যান্ডউইচ, আর কেক ও স্কোন, যার সঙ্গে ছিল জ্যাম আর ক্লটেড ক্রিম বা ঘন দুধের সর কিংবা মাখনের মতো ঘন ক্রিম –যেন এনিড ব্লাইটনের বই থেকে উঠে এসেছে!
লর্ডসের খাবারের খোঁজ নেওয়ার পর ক্রিকনইফোর প্রতিবেদকের মন্তব্য, এই সব শোনার পর আমাদের একটু শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে!
এসএন