বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো স্টারলিংকের স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা। এ সেবার অফিসিয়াল রিসেলার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্টারলিংকের পক্ষ থেকে এতে উপস্থিত ছিলেন স্পেসএক্সের গ্লোবাল বিজনেস অপারেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার এবং আন্তর্জাতিক কৌশল ও সরকারি সম্পর্ক পরিচালক রিচার্ড গ্রিফিথস। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি জানান, বিএসসিএল এখন থেকে স্টারলিংকের অফিসিয়াল রিসেলার হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে দেশের দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আজ বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ইন্টারনেট এখন আর বিলাসিতা নয়, এটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এক সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে জনগণকে বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা সরকারের ছিল। এখন আর তা হবে না। ইন্টারনেট বন্ধে সরকারের একচেটিয়া ক্ষমতা প্রতিরোধে একটি নতুন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, এক বছর আগে এই দিনে, তৎকালীন সরকারের নির্দেশে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। সেই ডিজিটাল ব্ল্যাকআউটে মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়। গণগ্রেপ্তার, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আজ আমরা সেই অন্ধকার অধ্যায়কে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ দেখিয়েছে কীভাবে সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দেয়। ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা শুরু, মে মাসে অনুমোদন আর জুলাইতেই কার্যকর সেবা—এমন দ্রুত অগ্রগতি আমরা খুব কম দেশেই দেখি।
তিনি আরও বলেন, স্টারলিংক শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি একটি পরিবর্তনের মাধ্যম। গ্রামীণ শিক্ষা, টেলিমেডিসিন, রিমোট ওয়ার্ক এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য এটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইমাদুর রহমান এবং বিএসসিপিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম হোসেন।
এফপি/টিএ