সুস্মিতার পছন্দের হিরে উপহার দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না, রোহমানের খোলামেলা স্বীকারোক্তি

 বঙ্গকন্যা সুস্মিতা সেন ও রোহমান শলের প্রেমের কথা সর্বজনবিদিত। তবে বেশ কিছু বছর হল তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে সম্পর্কে ইতি টেনে বিচ্ছেদের পরও তাঁরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের ভালবাসার সম্পর্ক শুরু হয়েছিল নিখাদ বন্ধুত্বের হাত ধরে আর তাই সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরেও তাই সেই বন্ধুত্বে ছেদ টানেননি তাঁরা। এবার সুস্মিতার সঙ্গে শেষ হয়ে যাওয়া সম্পর্কে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রোহমন। ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী সুস্মিতা সেনের হিরের প্রতি প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রেমিক।

সম্প্রতি এক সংবাদমাদ্যমে এই নিয়ে রোহমান জানান, তিনি নিজে হিরে ভীষণ পছন্দ করেন। এরপরই তাঁকে পালটা প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কি কখনও তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা সুস্মিতা সেনকে হিরে উপহার হিসাবে দিয়েছেন? এপ্রসঙ্গে রোহমন বলেন, “আমার তাঁকে হিরে উপহার দেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা হয়নি। ওঁর যে রকম হিরে পছন্দ তা আমি দিতে পারিনি। যেদিন সেই ক্ষমতা আমার হবে আমি নিশ্চয়ই এমন উপহার দেওয়ার সাহস দেখাব”



এপ্রসঙ্গে রোহমানকে জিজ্ঞেস করা হয় ঠিক কোন ধরণের হিরে সুস্মিতা পছন্দ করতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রোহমান বলেন, “সুস্মিতার এক ধরণের পছন্দের হিরে আছে। যা ২২ ক্যারাটের। কিন্তু সেটা উপহার দিতে গেলে আমাকে যে পরিমাণ আয় করতে হবে তাতে আমার আরও কিছুটা সময় লাগবে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ঈশ্বর আমাকে সেই সুযোগ দেবেন।” উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ২০২১ সালে ইতি টানেন সুস্মিতা ও রোহমান। নিজেদের বিচ্ছেদের খবর সোশাল মিডিয়ায় তাঁরা জানিয়েছিলেন সকলকে।

তবে সেই পোস্ট ছিল অন্যান্য বিচ্ছেদ পোস্টের থেকে অনেকটা আলাদা। কারণ ইনস্টাগ্রামে নিজেদের ভালো মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁরা চিরকাল ভাল বন্ধু ছিলেন আর এখনও তাই আছেন আর আগামীতে থাকবেন। এক্ষেত্রে বিচ্ছেদ কোনও ছাপ ফেলবে না।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা এখন বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য Jul 23, 2025
img
রাসেলের বিদায়ী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সহজ জয় অস্ট্রেলিয়ার Jul 23, 2025
img
হাসপাতালজুড়ে নিস্তব্ধতা, চোখে-মুখে সবার আতঙ্কের ছাপ Jul 23, 2025
img
মাইলস্টোন ঘটনা : আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরিতে কমিটি গঠন করল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ Jul 23, 2025
img
একই রানওয়েতে সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইট, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন Jul 23, 2025
img
ভারত উন্নয়নের পথে, পাকিস্তান ঋণের ফাঁদে Jul 23, 2025
পাকিস্তানের হার দেখে আত্মসমর্পণ করেছেন জলিল চাচা; টাইগার শোয়েব" Jul 23, 2025
img
এমন বাংলাদেশ আসলেই আমরা প্রত্যাশা করিনি : নিলুফার চৌধুরী Jul 23, 2025
img
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুললেন ট্রাম্প Jul 23, 2025
img
এসিসি সভা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে চাপের মুখে বিসিবি Jul 23, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার বাজারদর Jul 23, 2025
img
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা বাড়ার আভাস Jul 23, 2025
img
গাজায় গণহত্যা নিয়ে যারা নীরব থাকবে তারাই এর সাথে জড়িত: এরদোয়ান Jul 23, 2025
img
নিজের বাড়িতেই পাঁচ বছর ধরে হেনস্থার শিকার, দাবি তনুশ্রীর Jul 23, 2025
img
মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় সন্তানদের হারিয়েছে : প্রিন্স Jul 23, 2025
img
ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছাড়া আর কোনো কিছু আমি হিসাব করি না: জাকের আলী Jul 23, 2025
img
প্রোটিয়া ব্যাটারের রেকর্ড ইনিংসে থামল টাইগার যুবাদের হোয়াইটওয়াশ স্বপ্ন Jul 23, 2025
img
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন নিহতদের জান্নাত নসীব করেন: পড়শী Jul 23, 2025
img
জাপানের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের Jul 23, 2025
img
রূপের মানদণ্ডে বিচার, হারিয়ে যাচ্ছিল আত্মবিশ্বাস Jul 23, 2025