রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো ১৬৫ জন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য জরুরি সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তবে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনার সময় একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধার কার্যক্রমে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আহতদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেনা সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ জানালেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ এলাকাটি ত্যাগ করেনি।
আইএসপিআরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, তদন্তে যেসব ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হবেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় বিকেলের দিকে সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে একদল উৎসুক জনতার ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দেয়। এতে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ১৪ জন সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বর্তমানে তারা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে পেশাদারির ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
এফপি/টিএ