সিরিয়ার ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্রমণ অনুমতি চালু করার ঘোষণা সৌদি আরবের

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং পারস্পরিক ভ্রমণ সহজতর করতে সৌদি আরব সিরিয়ার ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ভ্রমণ অনুমতি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

সৌদি আরবের দূতাবাস এক্সে একটি অফিসিয়াল পোস্টে জানিয়েছে, সিরিয়ার ব্যবসায়ীরা এখন দামেস্কের দূতাবাসে সরাসরি ভ্রমণ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এদিকে, সিরিয়া ভ্রমণে আগ্রহী সৌদি বিনিয়োগকারীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।

সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সৌদি আরব এবং সিরিয়া উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ১২ বছরের বিরতির পর ২০২৪ সালে দামেস্কে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করা হয়।

এপ্রিল মাসে, সৌদি আরব এবং কাতার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির আর্থিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে সিরিয়ার ১৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিষ্পত্তির জন্য একটি যৌথ উদ্যোগের ঘোষণা দেয়।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, দূতাবাস আগ্রহী সৌদি ও সিরিয়ার ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ভ্রমণ পারমিটের প্রাপ্যতা ঘোষণা করছে। যার ফলে তারা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশে ভ্রমণ এবং বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এদিকে, সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা দামেস্কে একটি সৌদি-সিরিয়া বিনিয়োগ ফোরাম আয়োজন করবে যাতে দুই দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার সুযোগগুলো তৈরি করা যায়।

এক এক্স পোস্টে, মন্ত্রণালয় জানায়, ফোরামে উভয় পক্ষের সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এর আগে জুন মাসে, সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ সিরিয়ার মোহাম্মদ আল-শারার সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন, যেখানে বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব অন্বেষণ করা হয় এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতে সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে আরও সহায়তা করার জন্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জুন মাসে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

সূত্র: আরব নিউজ

এমআর/এসএন     

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আ. লীগের ৮ নেতা গ্রেপ্তার, আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপ Jul 23, 2025
img
মাহরিন চৌধুরীর অসীম সাহসিকতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে: আনোয়ার ইব্রাহিম Jul 23, 2025
img
বিয়ের দোরগোড়ায় গিয়েও শেষমেশ আলাদা হন মিঠুন-মমতা Jul 23, 2025
img
মিটফোর্ড ঘটনায় আরও ৩ জনের দায় স্বীকার, ২ জন রিমান্ডে Jul 23, 2025
img
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের পরিচয় মিলেছে Jul 23, 2025
img
বিমান বিধ্বস্তের তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করুন: ইসলামী আন্দোলন Jul 23, 2025
img
বার্সা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে ক্রিস্টেনসেনের! Jul 23, 2025
img
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম কেনার সিদ্ধান্ত Jul 23, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা সংবিধানে লেখা থাকা যথেষ্ট নয় : সালাহউদ্দিন Jul 23, 2025
img
এনসিপির প্রতি সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণ চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব: নুর Jul 23, 2025
img
পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা Jul 23, 2025
img
স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ Jul 23, 2025
img
হাতে ক্যানোলা, সন্তানের গায়ে হাত রেখে কাঁদলেন পরীমণি Jul 23, 2025
img
৩৫ শতাংশ শরীর পুড়েছিল আগুনে, নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনেত্রী Jul 23, 2025
img
ইউনাইটেডের পরিবর্তে আর্সেনালকেই বেছে নিলেন গিওকারেস Jul 23, 2025
img
শিক্ষক মেহেরীনের আত্মত্যাগের প্রশংসা করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী Jul 23, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩১৯ Jul 23, 2025
সন্ধ্যার পরেও ডিজির কক্ষে তদবিরের ভিড়, সাক্ষাৎ নিতে গেলে বললেন মানসিক অবস্থা নেই Jul 23, 2025
তারেক রহমানকে নিয়ে যে কথা বললেন নুরুল হক নুর Jul 23, 2025
সংস্কারের আড়ালে আটকে রাখার চেষ্টা দেখছে বিএনপি Jul 23, 2025