বিমান বিধ্বস্তের তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করুন: ইসলামী আন্দোলন

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নানা রকম অবিশ্বাস ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে বা তৈরি করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে, পতিত ফ্যাসিবাদ বিভিন্ন ঘটনায় এতো বেশি মিথ্যা বলতো যে, মানুষ এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে আর বিশ্বাস করে না। রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি নাগরিকদের এমন গণ-অবিশ্বাস আমাদের আগামীর পথচলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। জোড় করে মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাস ভাঙ্গা যায় না। তাই তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সামনে নিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ।

বুধবার (২৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অবিশ্বাস শুরু থেকেই তোলা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা ও অবস্থা নিয়েও নানা গুঞ্জন বাতাসে ভাসমান। একই সাথে বিধ্বস্ত বিমানের ফিটনেস, পাইলটের দক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে নানা রকম সন্দেহ ও অবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। এটা রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক বিষয় নয়। সেজন্য প্রকৃত আহত ও নিহতের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। ঘটনাস্থল স্কুল হওয়ার কারণে সেখানে কতজন ছিল তা বের করা কঠিন হবে না। ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করাও কঠিন কিছু না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে থাকা বিমান কেনার সময় নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। অভ্যুত্থানের পরে এখনই সময় সামরিক খাতের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা। বিশেষ করে বিমান বাহিনীর বিমান কেনা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে নানা সময়ে তার সুষ্ঠু সমাধা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ আমাদের সামরিক বাহিনীকে আমরা প্রশ্নাতীতভাবে হৃদয়ের গহিন থেকে সম্মান করতে ও ভালোবাসতে চাই।

একই সাথে সামরিক বাহিনীর কারো জীবন ঝুঁকিতে থাকুক তাও আমরা চাই না। তাই প্রশিক্ষণ বিমানসহ বিমান বাহিনীর বিমান, অস্ত্র ইত্যাদি সম্পর্কে একটি সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। সেজন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, হতাহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকার আন্তরিক হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এই সরকার দেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে গঠিত একটি সরকার। এই ধরনের দুর্ঘটনা ও তৎপরবর্তী ব্যবস্থাপনায় এই সরকার একটি উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘সইয়ারা’র অহানের সঙ্গে সুহানার পুরনো ভিডিও ঘিরে নতুন জল্পনা Jul 25, 2025
img
মিরপুরের মতো উইকেট কোথাও দেখিনি : সালমান আলী Jul 25, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস, কমবে গরম Jul 25, 2025
img
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স : ম্যাক্রোঁ Jul 25, 2025
img
‘ফেলুদা’র সঙ্গে তিলোত্তমার আবেগঘন সাক্ষাৎ Jul 25, 2025
"পঞ্চপান্ডবদের বিদায়ের পর নতুন দল নিয়ে খুশি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ" Jul 25, 2025
নিজ বাড়িতেই হয়রানি করা হচ্ছে তনুশ্রী দত্তকে Jul 25, 2025
আমার সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছিল, কিন্তু কিছুই বলতে পারিনি: তটিনী Jul 25, 2025
img
কুয়েটের নতুন উপাচার্য বুয়েট অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী Jul 25, 2025
৮৭ বার সময় নিয়েও তদন্ত অসম্পূর্ণ! রিজার্ভ চু/রি মা/ম/লা/য় আবারও তারিখ পেছাল Jul 25, 2025
আদালতে যে মা/ম/লা/য় উঠানো হলো খায়রুলকে Jul 25, 2025
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Jul 25, 2025
img
দেশের ৭ অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 25, 2025
img
শাহরুখের জায়গায় কেন নেওয়া হয় সঞ্জয় দত্তকে? Jul 25, 2025
img
ভোলায় পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Jul 25, 2025
img
ভাঙছে গোবিন্দ-সুনীতার ৩৭ বছরের সংসার Jul 25, 2025
img
সব ম্যাচে তাসকিন-মুস্তাফিজদের না খেলানোর যে ব্যাখ্যা দিলেন লিটন Jul 25, 2025
img
রাস্তার পাশের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ২ জনের Jul 25, 2025
img
১৫ বছরে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ Jul 25, 2025
img
পুলিশের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার Jul 25, 2025