গাজায় লাগামহীন ইসরায়েলি হামলা, নিহত ছাড়াল ৫৯ হাজার ৫০০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।

একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও সাড়ে চার শতাধিক মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৫৯ হাজার ৫৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধকে “গণহত্যামূলক আক্রমণ” হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং ৪৫৩ জন আহত হয়েছেন। তবে এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বা রাস্তায় পড়ে আছেন, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতেই পারছেন না।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৭৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের নাম সরকারি তালিকায় যুক্ত করায় মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ করে অনেক বেড়েছে। একই সময়ে মানবিক সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

গত ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েই ১ হাজার ৮৩ জন নিহত এবং ৭ হাজার ২৭৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে আবারও পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে। এতে করে জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে যায়। এরপর থেকে আরও ৮ হাজার ৪৪৭ জন নিহত এবং ৩১ হাজার ৪৫৭ জন আহত হয়েছেন।

এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমাদের মূর্খ বলা হয়েছে, কিন্তু আমি দস্তখত করতে জানি: চরমোনাই পীর Jul 26, 2025
img
ভারত থেকে গত এক মাসে ১৫০০ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
পথেই বগি ফেলে চলে গেল কক্সবাজার এক্সপ্রেস Jul 26, 2025
img
চিত্রনাট্য নিয়ে রাতভর প্রস্তুতি শুরু শুভশ্রীর Jul 26, 2025
img
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ ওমরাহযাত্রী Jul 26, 2025
থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া উত্তেজনায় শান্তির ডাক Jul 26, 2025
মোহাম্মদপুর ও পুশব্যাক ইস্যু নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
আয় বাড়াতে আরও ৩ জাহাজ কিনছে সরকার : সাখাওয়াত হোসেন Jul 26, 2025
img
ক্ষমা চেয়েও রেহাই মিলছে না, আবারও বিতর্কের মুখে সুনীল শেট্টি Jul 26, 2025
img
দেশি-বিদেশি গোষ্ঠী দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : আখতার Jul 26, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে : মেজর হাফিজ Jul 26, 2025
img
আবাসন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে নিতে হবে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন Jul 26, 2025
img
আরব আমিরাতেই হবে এশিয়া কাপ, চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ Jul 26, 2025
img
ভারত না আসায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারে যে দুই দল Jul 26, 2025
বিশ্ব শান্তিতে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা মার্কো রুবিওর Jul 26, 2025
img
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোই সময়ের দাবি : রিজওয়ানা Jul 26, 2025
চট্টগ্রামের কণ্ঠে মুগ্ধ বলিউড গায়ক, সাকিবের সুরে জাগছে লাল-সবুজের স্বপ্ন! Jul 26, 2025
img
জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগ জাতিকে ভুলে গেলে চলবে না : ডিসি জাহিদুল Jul 26, 2025
রুশ রকেটে চড়ে মহাকাশে পৌঁছাল ইরানের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘নাহিদ-২’ Jul 26, 2025
img
সজীব ওয়াজেদ জয়কে সভাপতি করে দল পুনর্গঠনের পথে আ. লীগ Jul 26, 2025