আগামী নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে : ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও অধিকার রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন নগর মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, "আগামী নির্বাচনগুলোতে আমরা অতীতের তুলনায় আরও বেশি নারী প্রার্থী দেখতে পাব।"

শনিবার (২৬ জুলাই) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার বিষয় ছিল “আন্দোলনের পরবর্তী বাংলাদেশে নারী ও তরুণদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে?” এটি “রাজনীতিতে নারী ও যুবাদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক সিজিএসের চলমান প্রকল্পের অংশ, যেখানে সহযোগিতা করছে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস।

ডা. শাহাদাত বলেন, “গত ১৬ বছরে অনেক নারী বিএনপির মধ্যেই রাজনৈতিক পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। আমরা তাদের পূর্ণাঙ্গ নেতৃত্বে রূপান্তরের সুযোগ করে দিতে চাই।” তিনি বলেন, “তরুণ এবং প্রান্তিক কর্মীদের নিয়ে গঠিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিএনপি। পাশাপাশি দলীয়ভাবে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলা হচ্ছে।”

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক আমির শাহাজাহান চৌধুরী, এনসিপির জুবাইরুল হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম মহানগর সিপিবির সভাপতি অশোক সাহা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান এবং গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি।

সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন সিজিএস-এর সভাপতি জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, “গত বছরের জুলাই আন্দোলনে তরুণ ও নারী সমাজ সামনের সারিতে ছিলেন। কিন্তু আজও কোনো রাজনৈতিক দল নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকা নিশ্চিত করতে কোনো জেন্ডার ইকুয়ালিটি চার্টার গ্রহণ করেনি।” তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামে উচ্চপর্যায়ে কোনো নারী নেতা নেই। এ কারণেই আজকের আলোচনায় কেবল পুরুষ বক্তারাই উপস্থিত।”

 
 পিএ/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শেকড় অনেক গভীরে : উমামা ফাতেমা Jul 27, 2025
img
আমিরের 'পিকে' সিনেমার গল্প বদলেছিলো দুইবার, কেন জানেন? Jul 27, 2025
img
গাজায় ক্ষুধা-হামলায় আরও ফিলিস্তিনির ৭১ মৃত্যু Jul 27, 2025
img
আজ আংশিক মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ Jul 27, 2025
img
তিন সূচকে র‌্যাংকিং, সত্যিকারের ধনী দেশের তালিকা প্রকাশ Jul 27, 2025
img
উত্তরার এক বাড়িতে থাকেন চঞ্চল-রাজ-নাবিলা, শোবিজের ২০ তারকা Jul 27, 2025
img
সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যুতে ৩০ হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য ঘিরে উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব Jul 27, 2025
img
পাকিস্তানি টিকটকারের রহস্যময় মৃত্যু, মেয়ের অভিযোগ বিষপ্রয়োগ Jul 27, 2025
img
একাই একশো রাশিয়া, বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন পুতিন Jul 27, 2025
img
জাতীয় সমাবেশে কত খরচ হয়েছে, জানালেন জামায়াত আমির Jul 27, 2025
img
২০৩০ সালের মধ্যেই পানিশূন্য হতে পারে রাজধানী কাবুল Jul 27, 2025
img
অভিনেতা সুনীল শেট্টির মন্তব্য: সম্পর্ক ভাঙনের পেছনে কি ভার্চুয়াল জগত দায়ী? Jul 27, 2025
img
এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মসজিদে দেখা গেল শামীম ওসমানকে Jul 27, 2025
img
অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের কঠিন রোগে প্রতি ৮ ঘণ্টায় খেতেন ওষুধ! শরীরে আঘাত হানে কোন রোগ? Jul 27, 2025
img
এক বছরেও শহীদ পরিবারের সঙ্গে বসতে না পারা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা : সারজিস Jul 27, 2025
img
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা : ট্রাম্প Jul 27, 2025
img
সবার আগে রাষ্ট্রের ৩ প্রধান অঙ্গের সমস্যার সমাধান করতে হবে: আসিফ নজরুল Jul 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার কমানোর ইঙ্গিত, বৈঠক ২৯ জুলাই Jul 27, 2025
img
এবার ফ্রান্স, জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে কমিটি ঘোষণা এনসিপির Jul 27, 2025
img
লড়াই-সংগ্রামে জনতার বিজয় অর্জিত হবেই, ইনশাআল্লাহ : জামায়াত আমির Jul 27, 2025