বন্য প্রাণী সংরক্ষণে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত হবে ছাত্রবলয় : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘোষণা দিয়েছেন, বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহণকারী পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে তাদের সম্পৃক্ত করে ‘ছাত্রবলয়’ গঠন করা হবে।


আজ রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবনে মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বৃক্ষমেলা শুধু গাছ বিক্রির স্থান নয়, এটি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির এক মহৎ উদ্যোগ। এই মেলায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তারা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন।

উপদেষ্টা জানান, স্টল বরাদ্দে স্বচ্ছতা আনতে বিদ্যমান নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং আগামীতে আরো জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ এনেছেন। কেউ কেউ বিদেশি গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এসবই মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে বাস্তব সংযোগ তৈরি করেছে।’

ভবিষ্যতের বৃক্ষমেলায় পরিবেশবান্ধব নার্সারিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উপকরণ পরিহারের ওপর জোর দেন তিনি।

এ ছাড়া পরিচ্ছন্নতা, নান্দনিক ল্যান্ডস্কেপিং এবং পারিবারিক বিনোদনের পরিবেশ তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের গাছ চেনা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে এবং নির্বাচিত স্টল মালিক ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণে অবদান রাখা ব্যক্তিদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২৫-এ মোট ১১২টি স্টল অংশ নেয়।

এর মধ্যে সরকারি ৮টি, বেসরকারি ৮টি, সিঙ্গেল নার্সারি ৯২টি এবং ডাবল নার্সারি ১৮টি ছিল।মেলায় মোট ১৬ লাখ ৯১ হাজার চারশ তেইশটি চারা বিক্রি হয়েছে যার আর্থিক মূল্য ১৪ কোটি ৭৯ লাখ নয় হাজার চারশ চুয়াত্তর টাকা। বিক্রিত চারার মধ্যে ফলজ ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ছয়শ চল্লিশটি, বনজ ২ লাখ ৪৮ হাজার দুইশ চুয়াত্তরটি, ঔষধি ১ লাখ চৌদ্দ হাজার পাঁচশ পনেরোটি, মশলা ১ লাখ একশ উনপঞ্চাশটি, ক্যাকটাস ১ লাখ দুই হাজার ঊননব্বইটি, অর্কিড ৭৪ হাজার পাঁচশ একচল্লিশটি, শোভাবর্ধনকারী ৪ লাখ চুয়ান্ন হাজার পাঁচশ চুয়াত্তরটি, দেশীয় বিরল বা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি ৩৭ হাজার তিনশ একুশটি এবং অন্যান্য চারা ছিল ২ লাখ বাইশ হাজার বিশটি।

পিএ/ এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সংস্কৃতি গঠনের পথিকৃৎ ৯০ জন নারীর তালিকায় দীপিকা পাড়ুকোন Jul 27, 2025
img
গণভবনকে মিউজিয়াম করা হচ্ছে : শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
ফ্যাসিবাদের শাসনব্যবস্থাকেও বিদায় করা হবে : জোনায়েদ সাকি Jul 27, 2025
img
ডন থ্রিতে কি থাকছেন কৃতি শ্যানন? Jul 27, 2025
img
গতকালও ফেসবুকে খুনসুটি, আর আজই চিরবিদায় নিল রাতুল Jul 27, 2025
img
খায়রুল হকের শুনানিতে বিচারিক কাজে অসহযোগিতায় ডিসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ Jul 27, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: গ্রেফতার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট Jul 27, 2025
img
রাফার কণ্ঠে শোক: হাজার মানুষের কাজ একাই করতেন রাতুল Jul 27, 2025
img
রাষ্ট্রের মূলনীতির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়নি : আলী রীয়াজ Jul 27, 2025
img
বিদেশি চিকিৎসক দলকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে পথহারা বাংলাদেশ : জিল্লুর রহমান Jul 27, 2025
img
রোনালদোর পথ অনুসরণ করে আল নাসরে ফেলিক্স Jul 27, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে : আখতার হোসেন Jul 27, 2025
img
মুন্সীগঞ্জের কারাগারে বন্দি অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার Jul 27, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কিনছে বাংলাদেশ Jul 27, 2025
পুলিশ কমিশন কি গঠন করা হচ্ছে? যা বললেন ফুয়াদ Jul 27, 2025
img
দেশটা কারো বাপের সম্পত্তি না: শবনম ফারিয়া Jul 27, 2025
img
তৃতীয় দফা শুল্ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল Jul 27, 2025
img
অব্যবস্থাপনায় ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে ৩-৫ ডিগ্রি Jul 27, 2025
img
‘অ্যানিম্যাল’ পরিচালকের 'স্পিরিট'-এ জুটি বাধছেন প্রভাস-তৃপ্তি Jul 27, 2025