‘জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা ও বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে’

জুলাই অভ্যুত্থানকে অর্থবহ করতে এবং এই রক্তস্নাত অভ্যুত্থানের দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই সনদ গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, অবশেষে আগামীকাল ২৮ জুলাই জুলাই সনদের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে বলে জেনেছি। নানা অনিশ্চয়তা ও ধোঁয়াশার পরে জুলাই সনদ নিয়ে এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা ও বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। 

গাজী আতাউর রহমান বলেন, জুলাই সনদের বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনা নিয়ে আমরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা ও চিন্তায় হয়নি। এমনকি কোনো সংঘবদ্ধ ও সংহত কোনো চিন্তা ও দর্শনের আলোকে হয়নি। বরং বিগত ৫৪ বছরের সৃষ্ট রাজনৈতিক অসুস্থ সংস্কৃতি, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন এবং স্বৈরতন্ত্র ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। কেবল হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকেই তারা উৎখাত করেছে তা নয়, বরং একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্র উৎখাতের জন্য রক্ত দিয়েছে। ফলে জুলাই সনদে এর প্রতিফলন থাকতে হবে। স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাতের আইনগত বন্দোবস্তের নিশ্চয়তা থাকতে হবে জুলাই সনদে। তাহলেই কেবল জুলাই সনদ অর্থবহ হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব আছে। তাদের মতামত, তাদের ঐকমত্য প্রয়োজন। কিন্তু একই সঙ্গে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, বিগত ৫৪ বছরের চেপে বসা জঞ্জাল তৈরিতেও কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের দায় আছে। ফলে জুলাই সনদ যেন কেবলই রাজনৈতিক দলের মতামতনির্ভর না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা ও বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। কারণ, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ব্যবস্থার ওপরে আস্থা ও বিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে আছে। আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে কি না তা নিয়ে জনমনে আশঙ্কা আছে। তাই অবশ্যই জুলাই সনদের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসনের কোনো বিকল্প নেই: রেজাউল করীম Jul 28, 2025
img
ম্যানচেস্টার টেস্টে ৩ সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে হতাশ করে ড্র করল ভারত Jul 28, 2025
img
আগস্ট মাসে ৫টি ম্যাচ খেলবেন নেইমাররা Jul 28, 2025
img
ভোলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন Jul 28, 2025
img
পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে প্রাণ গেল ৯ জনের Jul 28, 2025
img
এনসিপির জার্মানি শাখার কমিটি গঠন Jul 28, 2025
img
সেনাপ্রধানের উদ্যোগে পাল্টে যাচ্ছে দুর্গম পাহাড়ের জীবন Jul 27, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতীয় মেডিক্যাল টিম Jul 27, 2025
img
২৯ জুলাই জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল Jul 27, 2025
img
বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনা শেরপুরের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজই করেনি : নাহিদ ইসলাম Jul 27, 2025
img
ভারতের দ্বিমুখী আচরণের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা দানিশ কানেরিয়ার Jul 27, 2025
img
আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেলো ১৫৫ এজেন্সি Jul 27, 2025
২০২৫ এশিয়া কাপে যেন না থেকেও আছেন সাকিব আল হাসান Jul 27, 2025
‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হয়েছে’ Jul 27, 2025
দায় স্বীকার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারাদেশের কমিটি বাতিল Jul 27, 2025
img
শহর থেকে গ্রামে পৌঁছবে বাংলা ছবি! ১০০ প্রেক্ষাগৃহ গড়ার পথে প্রসেনজিৎ Jul 27, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে নেজামে পার্টির বৈঠক Jul 27, 2025
img
কর্মঘণ্টা অনুযায়ী পুলিশের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে : শাকিল উজ্জামান Jul 27, 2025
img
একদিনে স্টারলিংকের ৮ স্যাটেলাইট স্টেশন গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া! Jul 27, 2025
img
স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত সব রাজনৈতিক দল: আলী রীয়াজ Jul 27, 2025