জুলাই আন্দোলন সম্পর্কিত কোনো শো-তে আমাকে ডাকবেন না: র‍্যাপার সেজান

গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভুত্থ্যানে ‘কথা ক’ শিরোনামের একটি গান ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে দেশজুড়ে। বিশেষ করে ছাত্রদের কণ্ঠে কণ্ঠে সে সময় ঘুরে বেড়ায় এই গানের প্রতিটি লাইন।

যিনি এই গানটি তৈরি করেছিলেন তার নাম সেজান। বহুদিন ধরেই হিপহপ গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। তবে ‘কথা ক’ গানটি দিয়ে সংগীতাঙ্গনেও নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করেন এই র‌্যাপার।

তবে জুলাই পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রাপ্য সম্মান পাননি বলে অভিযোগ শোনা গেল সেজানের কণ্ঠে। অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে গায়ক জানালেন, জুলাই আন্দোলন সম্পর্কিত যে কোনো শো-এর ব্যাপারে তার সঙ্গে আর যেন যোগাযোগ করা না হয়।

গত ২৭ জুলাই এই র‍্যাপার নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন সম্পর্কিত যে কোনও শো-এর ব্যপারে আমার সাথে কোনও যোগাযোগ করবেন না।’

এরপর তিনি লিখেছেন, ‘আন্দোলনে ছাত্রজনতার সমর্থনে সর্বপ্রথম দাঁড়ায় বাংলাদেশ হিপহপ কমিউনিটির র‍্যাপাররা। আমাদের গ্রাফিতি আর্টিস্টরাও সেখানে মুখ্য ভুমিকা রাখে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জুলাই সম্পর্কিত যেসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে র‍্যাপ বা হিপহপ আর্টিস্টদের প্রাধান্য নেই বললেই চলে। আমরা কিছু জায়গায় পারফর্ম করেছি। অধিকাংশ জায়গায় মনে হয়েছে, আমরা জোর করে আসছি। বাকিদের কথা সবাই প্রায় ভুলেই গেছে। অথচ আমি মনে করি, হিপহপ আর্টিস্টদের একটা বড় লাইন আপ রাখা যায় প্রত্যেক শোতেই।

অনেক জায়গায় কয়েকজনকে রাখা হলেও নামমাত্র সম্মান ও সম্মানী অফার করা হয় অন্যান্য ব্যান্ড বা শিল্পীদের তুলনায়। বাংলাদেশে হিপহপ এখন মুলধারার সংস্কৃতি হওয়া সত্ত্বেও, যথাযথ সম্মানটা পায় না এখনও।’

সেজান লেখেন, ‘যেসব শোগুলাতে আমি কথা দিয়ছি, সেগুলো শেষ করার পর প্রোপার লাইনআপ মেইনটেইন করে আমাকে ডাকবেন। আর শোতে আর্টিস্টের প্রোপার প্রোটোকল দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। অন্যথায় অযথা নিজের ও আমার সময় নষ্ট করবেন না কেউ আশা করি।’

একদম শেষে তিনি র‍্যাপ সংগীতের ঢঙে লিখেছেন, ‘ক্ষ্যাপা গানের আর্টিস্ট আমরা, ক্ষ্যাপ আর্টিস্ট না। রেস্পেক্ট ছাড়া যারেই পাবি, র‍্যাপ আর্টিস্ট না।’

এদিকে সেজানের এই স্ট্যাটাসে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই হিপহপ কমিউনিটির র‍্যাপাররা বর্তমান বাংলাদেশে প্রাপ্য সম্মান পান না বলেও অভিযোগ করেছেন। 

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত অন্তত ৮০ ফিলিস্তিনি Jul 29, 2025
img
ডিয়ার মা হয়ে এবার আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছেন জয়া Jul 29, 2025
img
মাঠের ক্রিকেটে কবে ফিরছেন, জানালেন তামিম Jul 29, 2025
img
দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 29, 2025
img
ঢাকার আকাশ মেঘলা, আজও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Jul 29, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান ২৮তম Jul 29, 2025
img
ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পুরস্কার নয়, এটি তাদের অধিকার: আন্তোনিও গুতেরেস Jul 29, 2025
img
আগামী ১১ দিন সারাদেশে পুলিশের বিশেষ সতর্কতা জারি, চলবে কড়া নজরদারি Jul 29, 2025
img
উমামা-নীলার অভিযোগের পর ভূপাতিত এনসিপি : মাসুদ কামাল Jul 29, 2025
img
পঞ্চগড়ে বেকারি-আইসক্রিম কারখানায় অভিযান, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা Jul 29, 2025
img
হাটহাজারীতে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নেতা গ্রেপ্তার Jul 29, 2025
img
গোপালগঞ্জে যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেপ্তার Jul 29, 2025
img
একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটাই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না : আমীর খসরু Jul 29, 2025
img
বৈশ্বিক পাসপোর্ট র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের তিন ধাপ উন্নতি Jul 29, 2025
img
মানুষ যখন জাগবে তখন ইতিহাস বদলাবে : তাসনিম জারা Jul 29, 2025
img
নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনা জটিল হবে : এহসানুল হুদা Jul 29, 2025
img
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ করেছে চীন, বিপাকে ভারত Jul 29, 2025
img
এশিয়া কাপেও শাদাবের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা Jul 29, 2025
img
সিরিজ বাঁচাতে বুমরাহকে ওভাল টেস্টেও খেলাতে পারে ভারত Jul 29, 2025
img
হবিগঞ্জে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করায় কৃষক লীগ নেতা আটক Jul 29, 2025