জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় উচ্চকক্ষ প্রয়োজন, জাতীয় সংসদকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে, ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। যাতে করে একটি জবাবদিহিমূলক ক্ষমতার ভারসাম্যকে নিশ্চিত করতে পারি। সেই উচ্চকক্ষের বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি ফলে জুলাই সনদ আটকে আছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে জুলাই পদযাত্রা শেষে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে এনসিপির পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এবং এনসিপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আমরা আবার যে সংগ্রাম শুরু করেছি, সেই সংগ্রাম আমরা ঘরের ভেতর থেকে করব।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নাম ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছিলাম। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পরে এই ব্যানারকে কলুষিত করতে বিভিন্ন দল ও পক্ষ ষড়যন্ত্র করেছে। বিভিন্ন অনুপ্রবেশকারীরা বৈষম্যবিরোধীর ব্যানারে চাঁদাবাজির আশ্রয় নিয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জামালপুর জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে পথসভায় এনসিপি সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুর রহমান বকুলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এতে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ এনসিপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতারা। পরে হরিজন পল্লীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন ও শহরের জামিয়া ইনআমিয়া ইসলামিয়া কওমী মাদরাসা পরিদর্শন করেন এনসিপির নেতারা। দুপুর ১২টার দিকে শহরের তমালতলা মোড় থেকে এনসিপির জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে পদযাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন স্লোগানে পদযাত্রা মুখর করে তোলে তারা। পদযাত্রাটি বকুলতলা হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফৌজদারি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ইউটি/এসএন