জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাত শতাধিক সংস্কার প্রস্তাবের ৬৫০টিতে বিএনপি একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘জাতয়ি ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা ৭ শশতাধিক। এরমধ্যে ৬৫০টিতে একমত হয়েছি। বাকিগুলোতে মতামত দিয়েছি। তবে সবকিছু সনদে থাকবে না। কিছু আইনি সংশোধনী রয়েছেন, প্রশাসনিক সংস্কারও রয়েছে।’
সাংবিধানিক যেকোনো সংস্কারই মৌলিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সনদে কী কী বিষয় আনবে তা আমাদের দেয়নি এখনো। যেসব বিষয় নিয়ে ঐকমত্য হয়নি, তা নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ঐকমত্যের স্বার্থে অনেক বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বিএনপি একমত হচ্ছে মন্তব্য করে এই নেতা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ৯০ শতাংশে একমত সবাই। বাকি অংশটুকু আমরা নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার নিয়ে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করবে।’
‘পরবর্তীতে বিচার বিভাগ থেকে দুজন বিচারককে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। আমরা বলেছি, বিচার বিভাগকে বাইরে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার কথা,’ যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
ঐকমত্য তৈরি না হলে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘র্যাঙ্ক চয়েজে বিএনপি একমত নয়, এরপরও নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সমাধানে আসতে চেয়েছে কমিশন। এই বিষয়ে জাতীয় সংসদের হাতে ছেড়ে দেয়ার পক্ষে বিএনপি। কারণ বিএনপি চায়, দ্রুত জাতীয় সনদ বাস্তবায়িত হোক।’
বিএনপি বিদ্যমান আইনগুলো শক্তিশালী করার পক্ষে জানিয়ে এই নেতা বলেন, ‘সবকিছুকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধান ভারী করার পক্ষে নই আমরা।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব অঙ্গ নিয়মের মধ্যে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করবে, এটাই বিএনপির চাওয়া।’
সাংবিধানিকভাবে বিএনপি নারীদের আরও ক্ষমতায়ন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৫০ এর পরিবর্তে ১০০ আসন সংরক্ষিত চায় বিএনপি। আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরে ১০ শতাংশ করার পক্ষেও মত দিয়েছে বিএনপি।’
এসএন