একটি চলচ্চিত্র সমাজের উপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, এই প্রশ্ন চিরন্তন। অনেকেই মনে করেন, সিনেমা সমাজের দর্পণ যা মানুষের মননে গভীর ছাপ ফেলে। আবার কারো কারো মতে, পর্দার গল্প ক্ষণিকের বিনোদন মাত্র দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলার ক্ষমতা এর নেই।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড ছবি ‘সাইয়ারা’ যেন এই বিতর্কের নতুন জন্ম দিয়েছে। অহন পাণ্ডে অভিনীত এই ছবিটি দেখে দেশের তরুণ সমাজ আবেগের জোয়ারে ভাসছে, যা জন্ম দিয়েছে নতুন এক আলোচনার।
গুগল সার্চ থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রাম, সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রে ‘সাইয়ারা’। 'আশিকী-২' এরপর দীর্ঘ এক দশক পর বলিউডের কোনো প্রেমের গল্প এত তীব্রভাবে তরুণ প্রজন্মকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জেন জি থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া, সবার চোখেই এখন ‘সাইয়ারা’র জল।
এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে – কী এমন আছে ‘সাইয়ারা’তে যা দর্শককে এত আবেগপ্রবণ করে তুলছে? কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ভোপালের এক চাঞ্চল্যকর খবর।
এই সিনেমা মানুষের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কোন আবেগকে উস্কে দিচ্ছে? অহন পাণ্ডে ও অনীত পদ্দার অনবদ্য অভিনয় এই ছবিকে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
অনেকেই ‘সাইয়ারা’ শব্দটির অর্থ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছেন। কেউ কেউ ভেবেছিলেন, এর অর্থ হয়তো ‘প্রিয়তমা’ কিন্তু এই ধারণা ভুল। উর্দুতে ‘সাইয়ারা’ শব্দের অর্থ হলো ‘শান্ত অথচ উজ্জ্বল নক্ষত্র’।
যে নক্ষত্র একাকী নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরপাক খায় কিন্তু নিজের আলোয় আলোকিত করে তোলে গোটা জগৎকে। পরিচালক মোহিত সুরি এই নামটি বেছে নিয়েছেন মূলত ‘ইটারনাল লাভ’ বা ‘চিরন্তন ভালোবাসা’ বোঝানোর জন্য। এই নামটি ছবির গল্পের গভীরতা এবং ভালোবাসার চিরস্থায়ী আবেদনকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে।
এফপি/ এস এন