জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজ সংস্কার ও বিচার চায়। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও গণহত্যার বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। আমাদের গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা ও শহীদ পরিবাররা চায় গণঅভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্মৃতি।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পদযাত্রা শেষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণদের চোখে-মুখে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা আমরা স্পষ্টভাবে দেখেছি। সে বাংলাদেশে থাকবে সমতা, ন্যায্যতা, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ। একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ধর্মীয় মূল্যবোধনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে আমরা রাজপথে নেমেছি।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে, এবং ২০২৪ সালে তথাকথিত ‘ভারতীয় তাবেদার মুজিববাদীদের’ বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এসব ঐতিহাসিক সংগ্রামে মানুষের একটাই আকাঙ্ক্ষা ছিল—সমতা ও ন্যায্য বিচার। সেই আকাঙ্ক্ষার ধারাবাহিকতায় নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, এনসিপি যে বাংলাদেশ চায়, সেখানে সব নাগরিকের মর্যাদা নিশ্চিত হবে। সেখানে থাকবে না চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে মূল্যায়ন, এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধারা জীবন দিয়েছিলেন, তা আমাদের কাছে একটি আমানত। এই দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা এখন আমাদের দায়িত্ব।
আগস্টে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার শহীদ মিনারে আমরা আবারো সমবেত হব। সেখান থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা দেব এবং বাস্তবায়নের কর্মসূচি জানাব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
ইউটি/টিএ