গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা ও সহিংস ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়েছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট মামলা হলো ১৪টি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা চলাকালে জেলা প্রশাসকের বাসভবন ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর আজ বুধবার (৩০ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) ফারুক হোসেন বাদী হয়ে নামে ও বেনামে মোট ১০১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মতিয়ার মোল্লা বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৪৭ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে অপর একটি মামলা করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, গোপালগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী (লেকু)। বাকি সবাই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৬ জুলাই এনসিপির গোপালগঞ্জ পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চের সমাবেশস্থলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত রাখেন। আসামিরা রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত করেন। সরকারি কাজে বাধাদান ও সরকারি কর্মচারীদের আক্রমণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল নিক্ষেপ করে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের মারধর ও গুরুতর জখম করেন। এ পর্যন্ত দায়ের করা মোট ১৪টি মামলায় ১৫ হাজার ৭৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা চালান নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পাঁচ ঘণ্টার হামলা-সহিংসতায় চারজন নিহত হন। পরের দিন ১৭ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়ায় পাঁচজনে।
আহত হন সাংবাদিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যসহ শতাধিক।
ইউটি/টিএ