বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সবার আগে ভেঙে দেওয়ার দরকার ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান।
তিনি বলেছেন, একটা-দুটো জায়গায় যদি হয়ে থাকে (চাঁদাবাজি), তাহলে সব কমিটি কেন বাতিল করেছেন? তার মানে ওমামা ফাতেমা যে অভিযোগ করেছেন, এটা একটা সিস্টেম্যাটিক ব্যাপার। যেটা ছাত্র উপদেষ্টাদের যোগসাজসে জানা-শোনার মধ্য দিয়ে হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে, এই কেন্দ্রীয় কমিটি সবচাইতে বেশি দায়ী।
কারণ সুপ্রিম যিনি আদেশ দেন, যিনি এসব জানেন, তারা সবার আগে ওটা ভাঙার কথা। কারণ তারা যখন সবগুলো কমিটি ভেঙে দিচ্ছে, তাতে প্রমাণ হয়, বিভিন্ন জায়গায় এই প্রবলেমটা আছে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার এপিএসের দুর্নীতির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলো- কয়েক শো কোটি টাকা তিনি বানিয়েছেন।
দুদক তাকে ডেকেছে। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমি এভাবে বলি, এপিএস তো চাঁদের মতো। তার নিজের আলো নেই।
সে আলো পায় সূর্যের কাছ থেকে। সূর্য হচ্ছে মন্ত্রী, মানে উনি যদি কারো কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে থাকেন, তদবিরবাজি করে থাকেন, এ কাজ কে করেছে? আমি বলছি না আসিফ মাহমুদ এ ঘটানায় দায়ীই। কিন্তু উচিত ছিল তাকেও এটার পার্ট করা। দুদক কি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারত না? তদন্ত করা মানেই তো তাকে অপরাধী বলে ফেলা নয়।
কেএন/এসএন