তাঁর গানে আজও বুঁদ গানের পৃথিবী। তিনি কিশোর কুমার। প্রয়াণের প্রায় চার দশক পরের প্রজন্মও তাঁর গানে একইভাবে বুঁদ। আগামী ৪ আগস্ট কিংবদন্তি শি্ল্পীর জন্মবার্ষিকী। বচ্ছরকার দিনটাতে তাঁকে গানে গানে উদযাপন করা হয় দেশজুড়ে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। প্রতি বছর বাবার স্মরণে এই অনুষ্ঠানে কিশোরপুত্র অমিত কুমারের উপস্থিতি দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে এক পরম পাওয়া। এবার তাতে নবতম সংযোজন হতে চলেছেন মুক্তিকা গঙ্গোপাধ্যায়। কিশোর কুমারের নাতনি এবার গানে গানে শ্রদ্ধা জানাবেন কিংবদন্তি দাদুকে। আর সুরের মূর্চ্ছনায় মিলে যাবে তিন প্রজন্মের সুরেলা বৃত্ত।
আগামী ৪ আগস্ট কিশোর কুমারের জন্মদিন। এই উপলক্ষে কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত হয়েছে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘জীবন কে হর মোড় পে’। উদ্যোগে বেঙ্গল ওয়েব সলিউশন, রাজেশ্বরী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, রেড ক্রিয়েটিভ আর্ট এন্ড ইভেন্ট। ভাবনা ও ব্যবস্থাপনায় শ্যাম সরকার। আগামী ৩১ জুলাই, ২০২৫, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন অমিত কুমার, শৈলজা সুব্রমণিয়ম, অলোক কাটডারে, কিশোর সোধা ( ট্রাম্পেট ) এবং কিশোর কুমার এর নাতনি মুক্তিকা গাঙ্গুলি। বাবা অমিত কুমার ও দাদু কিশোর কুমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এদিনের সন্ধ্যায় অমিত কুমারের সঙ্গে থাকছেন মুক্তিকা। উল্লেখ্য, অমিত কুমার এর বিশেষ কিশোর স্মরণে করা অ্যালবাম ‘বাবা মেরে’-এর শীর্ষ সঙ্গীতে গানের দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল মুক্তিকা গাঙ্গুলির। পাশাপাশি নিজেরই সুরে অমিত কুমারও সেই সঙ্গে গান গেয়েছিলেন।

এদিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে কিশোর কুমার এর পাশাপাশি আর এক কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আশা ভোঁসলের গানেরও উদযাপন করা হবে। কিশোর কুমার এবং আশা ভোঁসলে এক সঙ্গে অনেক দ্বৈত কণ্ঠে কালজয়ী গান করেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানের নামকরণ তেমনই এক জনপ্রিয় গানের রেশ ধরেই ‘জীবন কে হর মোড় পে’। গানের পাশাপাশি থাকবে স্মৃতিচারণা, গানের গল্প বলবেন স্বয়ং অমিত কুমার। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন আর. জে . অরবিন্দ। মুক্তিকা গাঙ্গুলি জানালেন, ” আমি স্টেজ শো করতে ভীষণ ভালোবাসি।
বাবাকেও দেখছি ছোট্ট বয়স থেকে স্টেজে কি ভাবে এত শ্রোতাদের আনন্দ দেন। আর দাদুর জায়গায় পৌঁছন তো সম্ভবই নয়। বাবা বলেন আনন্দ করে গান করতে। সেটা মাথায় রেখে চলি।” তাঁর আসল নাম, আভাসকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও তাঁর পরিচিত কিশোর কুমার নামে। দুনিয়া তাঁকে এই নামেই চিনেছিল। আট থেকে আশি বলা ভালো এক থেকে একশো আজও তার সুরের মূর্ছনায় মোহিত। প্রজন্মের পর প্রজন্মের বুঁদ হয়ে রয়েছে তার গানে। কলকাতার বুকে প্রতিবছরের মতো আয়োজিত হচ্ছে তার স্মরণে এক সঙ্গীতসন্ধ্যা।
এমকে/টিএ