তিন-চার দিনের মধ্যেই বসুন্ধরা কিংসের ক্যাম্পে যোগ দেবেন কিউবা মিচেল। তবে তার জন্য জমকালো আয়োজন করছে না বসুন্ধরা কিংস, জানিয়েছেন সভাপতি ইমরুল হাসান। তার অন্তর্ভুক্তি দেশের ক্লাব ফুটবলে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, সাফ অঞ্চল থেকে লোকাল ক্যাটাগরিতে বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধনের সুযোগ থাকলেও এবার সে পথে হাঁটছে না কিংস।
চলতি মৌসুমে দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নিঃসন্দেহে সবচাইতে আলোচিত সাইনিং কিউবা মিচেল। সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা এই ফরোয়ার্ড বাংলাদেশের কোনো ক্লাবে নাম লেখাবেন তা অনেকের কাছেই ছিল কল্পনার বাইরে। সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ভালো কিছু করার লক্ষ্য থেকেই কিংসের এই সাইনিং। চুক্তিটা আপাতত তিন বছরের। খুব শিগগিরই ঢাকা পা রাখবেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই ইংলিশ। তবে তার বয়স বিবেচনায় বড় কোনো অভ্যর্থনার পথে হাঁটছে না বসুন্ধরা কিংস।
এ বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘তিন-চার দিনের মধ্যে সে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। বড় আকারের কিছু করতে চাচ্ছি না। তার বয়স যেহেতু কম, এটা হয়তো তার মনে একটু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও ফেলতে পারে। আমরা তাকে কিছুটা নিরবেই গ্রহণ করব।’
প্রবাস থেকে এসে জামাল-তারিক কাজীসহ আরও অনেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বাংলার ক্লাব ফুটবলে খেলার। তবে কিউবা মিচেলের বেলায় বিষয়টা বেশ আলাদা। এত অল্প বয়সেই তার মতো ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তি দেশের ক্লাব ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন বসুন্ধরা কিংস সভাপতি।
ইমরুল বলেন, ‘সে সান্ডারল্যান্ডের যুব দলের খেলোয়াড় ছিল। স্বভাবতই এটা বাড়তি উন্মাদনা যোগাবে ফুটবলপ্রেমীদের মনে। আমার মনে হয় এ চুক্তিটা ফুটবলে একটা ভালো প্রভাব ফেলবে।’
এদিকে, চলতি মৌসুমে সুযোগ ছিল সাফ রিজিয়ন থেকে ফুটবলার সাইন করে দেশি ক্যাটাগরিতে খেলানোর। তবে রেজিট্রেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ায় এবার আর সে পথে হাঁটছে না কিংস।
ইমরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে পেরেছি। তাই আর এ বছর সাফের দিতে হাত বাড়াচ্ছি না।’
এমকে/টিএ