গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-শ্রমিক-জনতার পরিবারের সম্মানে ‘নারকীয় জুলাই’ শীর্ষক এই জনসভার আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের জনসভায় হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে হাসিনার যে বিচারের যে দাবি উঠেছে, এ দাবি আজ পুরো জাতির দাবি। হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে পালিয়ে থেকে অডিও-ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে, যার প্রমাণ আপনারা গোপালগঞ্জে দেখেছেন। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। আশুলিয়ায় সেইভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের আন্দোলন, তাতো ৭১ এর যুদ্ধের পরই আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বৈরাচার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চিরদিন ক্ষমতা টিকে থাকতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে হাজারো শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই দানবের হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দেশকে সঠিক জায়গায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে একটা ভিশন ২০-৩০ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রটাকে বদলানোর জন্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন। এই রাষ্ট্রটাকে বদলানোর জন্য, কাঠামো বদলানোর জন্য এবং বিভিন্ন সংস্কারের জন্য।
বিএনপির মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এমন একটি জাতি, জনগণ যেসব রাজনীতিবিদদের সেবক মনে করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারাই গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে- হাসিনা এটা করেছে। আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে। এখনো আমরা দেখছি শহীদ পরিবার ন্যূনতম যতটুকু সহযোগিতা পাওয়া দরকার ছিল সেটুকু তারা পায়নি। এখনো দেখছি যারা পঙ্গু এবং আহত হয়েছিল, তাদের চিকিৎসা চূড়ান্ত হয়নি। এই সরকারকে আহ্বান জানাবো আপনাদের যে মেশিনারি আছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছেন তারা এই খবরগুলো নিয়ে যেন সহায়তা করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় প্রমুখ।
এমআর/টিএ