৮ জুলাই ২০১৯। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারত তখন অন্যতম ফেবারিট। গ্রুপপর্বে সর্বনিম্ন হার ও সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে তারা। অন্য সব দলই একাধিক ম্যাচে হেরেছিল, ভারত হেরেছিল একটিতে। তাদের পয়েন্ট ছিল ১৫, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ অস্ট্রেলিয়ার।
৯ জুলাইয়ের সেমিফাইনালে ভারত প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় নিউজিল্যান্ডকে, যারা সেমিতে উঠেছিল রানরেটের কল্যাণে। গ্রুপপর্বে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড দুদলের পয়েন্টই ছিল ১১ করে। কিউইদের রানরেট ছিল ০.১৭৫, পাকিস্তানের -০.৪৩০। গ্রুপপর্বে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের ম্যাচ থাকলেও তারা মুখোমুখি হয় সেমিফাইনালে উঠে, গ্রুপপর্বের ম্যাচটি ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে।
ম্যানচেস্টারে কিউইদের মুখোমুখি হয় ভারত। ভুবনেশ্বর কুমারের তোপে ২৩৯ রানে কেন উইলিয়ামসন বাহিনীকে আটকে ফেলে তারা। ভারত থেমে যায় আরও আগে—২২১ রানে। ১৮ রানে ম্যাচটি হারে তারা। বৃষ্টির কারণে দুই দিনে গড়ানো ওই ম্যাচের শেষদিকে বিরাট কোহলি নাকি কেঁদেছিলেন। জানিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
চাহাল ওই ম্যাচের একাদশে ছিলেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়ে তিনি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরেন, তখন বিরাট কোহলিকে বাথরুমে কাঁদতে দেখেন। শুধু কোহলি না, দলের প্রত্যেক সদস্যই নাকি কাঁদেন।
‘ফিগারিং আউট উইদ রাজ শামানি’ পডকাস্টে চাহাল বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে আমি তাকে (কোহলি) বাথরুমে কাঁদতে দেখেছি। আমি শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন ফিরছিলাম, তখন কাঁদতে দেখি। প্রত্যেকেই বাথরুমে কেঁদেছিল।’
ওই ম্যাচে চাহাল ৫ রান করে আউট হন। এর আগে বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচের সর্বোচ্চ খরুচে বোলার। দেন ৬৩ রান, যা নিয়ে চাহাল এখনও আক্ষেপে পুড়েন।
তিনি বলেন, ‘মাহি (ধোনি) ভাইয়ের শেষ ম্যাচ ছিল... আমার আরও ভালো করা উচিত ছিল। সেটা এখনও আমাকে পীড়া দেয়। আরও ভালো করা উচিত ছিল; ভালো বোলিং, কম রান দেওয়া। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, সব কিছু দ্রুত ঘটে যায়। চিন্তা করার সময় পাওয়া যায় না।’
ওই আসরের ফাইনালে উঠা নিউজিল্যান্ড স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ট্রফি হারায়। ম্যাচ টাই হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হয় সুপার ওভার। সুপার ওভারেও দুই দল সমান ১৫ রান করে নেয়। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারায় চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
এমআর/টিকে