চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের ৩৩ বছর পার করে এই প্রথম সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার হাতে উঠল শাহরুখ খানের হাতে। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জওয়ান ছবির জন্যই সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পেলেন বলিউড বাদশা। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া শাহরুখ ভক্তদের মনে। কিন্তু তাঁদের মনের কোণে একটাই প্রশ্ন, ৩৩ বছর শাহরুখ জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত তো হলেন, তাও আবার জওয়ান ছবির জন্য?
যে শাহরুখের ঝুলিতে রয়েছে ‘কাভি হা কাভি না’, ‘স্বদেশ’, ‘চাক দে’ ইন্ডিয়ার মতো ছবি, যে ছবিতে কর্মাশিয়াল হিরোর তকমা সরিয়ে শাহরুখকে পাওয়া গিয়েছিল একেবারে অন্য চেহারায়, সেই ছবি ছেড়ে দিয়ে, শেষ পর্যন্ত ‘জওয়ান’-এর মতো মশালা ছবি! সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনায়।
২০০৫ সাল ‘হাম তুম’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন সাইফ আলি খান। সেই সময় এক অন্য পুরস্কার সন্ধ্যায় হাম তুম ছবির পরিচালক কুণাল কোহলিকে শাহরুখ জানিয়ে ছিলেন, ‘দেখুন আমি খুব ভালো মনের মানুষ। ইন্ডাস্ট্রির সব নায়কদের, সব নায়িকাদের ভালোবাসি আমি। সব সিনেমাই আমার ভালো লাগে।
সাইফের হাম তুম ছবিও আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি একটু হতাশ। কেননা, আমার মনে হয়, স্বদেশ ছবির জন্য আমারও পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে এক অন্য গল্প।’
২০২৩ সাল ছিল শাহরুখের বছর। একের পর এক ফ্লপের পর এই এক বছরেই ব্লকবাস্টার ’পাঠান’, জওয়ান এবং সুপারহিট ডাঙ্কি যেন ফের বলিউডে ‘শাহরুখরাজ’ ফিরিয়ে দিল। বক্স অফিসে ঝড় তুললেও, ফিল্মবোদ্ধাদের মতে, জওয়ান একেবারে মশালা ছবি, যেখানে শাহরুখের অভিনয়ের তুলনায় গ্রাফিক্সই বেশি চমকপ্রদ ছিল। এমন এক ছবির জন্য শাহরুখ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভক্তদের মধ্য়ে ক্ষোভ ভিড় করেছে।
বেশিরভাগেরই মতে, জওয়ান নয়, স্বদেশ বা চক দে ইন্ডিয়া ছবির জন্যই শাহরুখের এই সম্মান পাওয়া উচিত ছিল।
এমনকী, এক সময় শাহরুখও এমটাই মনে করেছিলেন।
এফপি/ টিকে