দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় করতে পারলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় করতে পারলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।

রোববার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

প্রদান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি। কিন্তু গণতন্ত্রকে এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। কাজেই এই মুহূর্তে প্রধান দাবি হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। জনগণ যে অধিকার চর্চা করতে পারেনি, তা ফিরিয়ে দেওয়া। সংস্কারের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে।

সেজন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছিলাম, যা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ছিল। আমাদের চাইতে সুস্পষ্ট সংস্কারের প্রস্তাব আর কেউ দেয়নি। কিন্তু আমাদের সংস্কারের প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার যে চেষ্টা, তার কারণ আছে। কেউ কেউ সংগঠিত হওয়ার জন্য বেশি সময় চাইছেন। আবার কেউ কেউ জোট বাঁধার চেষ্টা করছেন। কিছুদিনে আগেও যারা একে অপরকে বেইমান, বিধর্মী বলে আখ্যায়িত করেছেন, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু এইসব কারণে কি দেশের জনগণ নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, তার জন্য বিলম্ব করবে? আমরা বিশ্বাস করি যে দেশে ইতোমধ্যে নির্বাচন দেওয়ার মতো অবাধ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা দেশে লুটপাট গুম-খুন চালিয়েছে, তাদের বিচার দ্রুত সময়ে করা হোক। সে বিচার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে আমরা অনেক আগেই আরেকটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা চাই সুবিচার হোক, কিন্তু বিলম্বিত বিচার নয়। সংস্কারও যেমন চলমান প্রক্রিয়া, বিচারও তেমন চলমা প্রক্রিয়া।

অনেকে বলেছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ বা বিলম্বিত হতে পারে। তাদের বলতে চাই, আপনাদের কতজন নেতাকর্মী নির্যাতিত-শহীদ হয়েছে? আমরা নিপীড়িত দল, সুতরাং ক্ষমতায় এলে বিচার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে, এটা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।

এমআর/টিকে    

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ, ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Aug 03, 2025
img
এবার টেবিল টেনিসের দায়িত্বে থাইল্যান্ডের কোচ Aug 03, 2025
img
জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি Aug 03, 2025
img
ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান হকির নতুন কোচ Aug 03, 2025
img
এক দফার প্রকৃত ঘোষক বাংলাদেশের জনগণ: নাহিদ Aug 03, 2025
img
মেসির চোট পাওয়া নিয়ে যা জানা গেল Aug 03, 2025
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তরুণদের ওপর: দুদু Aug 03, 2025
img
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত Aug 03, 2025
img
‘বাহুবলী’র বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন তামান্না Aug 03, 2025
img
কিছুদিন আগেও যারা একে অপরকে বেইমান বলেছে, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টায়: নজরুল Aug 03, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত, ৫ আগস্ট বিকেলে জাতির সামনে উপস্থাপন Aug 03, 2025
img
ড্যাপ সংশোধনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী ১০ আগস্ট Aug 03, 2025
img
রাজশাহীতে বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ১৩ মহিষের Aug 03, 2025
img
ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভাঙতে না পারার দায় স্বীকার করলেন নাহিদ ইসলাম Aug 03, 2025
img
শেখ হাসিনা বাংলার ইয়াজিদ, তার বিচার শেষ না করে রাজপথ ছাড়ব না: সামান্তা শারমিন Aug 03, 2025
ফজরের নামাজ না পড়লে যে ৩টি জিনিস হারিয়ে যায় | ইসলামিক জ্ঞান Aug 03, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে আটক করল পুলিশ Aug 03, 2025
কৃতি শ্যাননের ১২০০ কোটির রহস্য Aug 03, 2025
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে রেকর্ড পরিমাণ ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের Aug 03, 2025
'ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি মানে বিভাজন নয়' Aug 03, 2025