জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, দৃষ্টি হারিয়েছেন জাতি হিসেবে তাদের এ ত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের যেন আমরা ভুলে না যাই।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর সায়দাবাদ সংলগ্ন গোলাপবাগ মাঠে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে পালন উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে জুলাই ২৪ পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা উদযাপন ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এখানে প্রদর্শিত প্রেরণার প্রজন্ম ডকুমেন্টরিতে যা দেখলাম এবং যা শুনলাম তা ভুলে যাবার নয়।
প্রতিদিন রাস্তায় বের হলেই দেয়ালে বিভিন্ন লেখা দেখি। বিভিন্ন গ্রাফিতিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের প্রত্যয় ও আকাঙ্ক্ষার কথা ফুটে উঠেছে। আমরা যেন তাদের এ প্রত্যয় ও আকাঙ্ক্ষার কথা ভুলে না যাই। লেখাগুলো আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেয় জুলুম ও নির্যাতনের কথা।
তিনি বলেন, একসময় আমাদের দেশে জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। এসব জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নিরীহ মানুষদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই সময় আশাহত ছিলাম, মনে হয়েছিল আমরা আর স্বাধীনভাবে চলতে পারব না। কিন্তু এই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার ও স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বের শাসনামলে গুম, খুন, অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে আলেম সমাজ। দাড়ি টুপি দেখলেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ যে আত্মত্যাগ এবং অদম্য সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা ভুলে যাওয়ার নয়।
সকল পর্যায়ের ছাত্র, জনতা, কৃষক, শ্রমিক সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল যার ফলে ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছিল। যাত্রাবাড়ী ছিল গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং বিভিন্ন ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে পালিত হয়।
পিএ/টিএ