জুলাই আন্দোলনে কোনো একক অথবা একটা গোষ্ঠীগত কোনো নেতৃত্ব ছিল না বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জুলাই আন্দোলনে কোনো একক অথবা একটা গোষ্ঠীগত নেতৃত্ব ছিল না, কোনো নেতা ছিল না। এ আন্দোলন ছিল সারা দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।
কিন্তু এখন আমরা কি দেখছি- এ আন্দোলনের ক্রেডিট নেওয়ার জন্য নানাজনের নানা পাঁয়তারা।
এনসিপি বলছে তাদের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে এবং সেই শীর্ষ নেতা যারা আছে এনসিপির, তারা তো দাবি করে বসেছে, তারা এক দফার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদ কামাল বলেন, এক দফার ঘোষণা যে দিল, সে-ই নেতা হয়ে গেল তাও তো না। যদি সমস্ত মানুষ তখন না নামতো, তাহলে কি হতো? এ আন্দোলনে কি বিএনপি ছিল না? এ আন্দোলনে কি ছাত্রদল ছিল না? অথবা এ আন্দোলনে কি জামায়াত-শিবির ছিল না? আর এই যারা এখন এনসিপির নেতৃত্বে আছেন, তারা সবাই মূলত ওখানকার একটা ক্ষুদ্র, খুবই ছোট ছাত্র সংগঠন ছাত্রশক্তি নামের একটা সংগঠনের।
তিনি বলেন, সেই ছাত্রশক্তির কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শাখা পর্যন্ত আছে? নেই তো। তাহলে তারা এভাবে দাবি করেন কেন? এই কারণে দাবি করেন, তারা আসলে এখন ক্ষমতাঘনিষ্ঠ। ক্ষমতায় যারা থাকে তারা অনেক কিছু বাস্তবে না ঘটলেও তাদের দাবি করে। কারণ সে দাবিকে অস্বীকার করার সাহস কেউ পায় না।
আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। সেটা হলো কদিন আগে আলজাজিরায় একটা রিপোর্ট প্রচার হয়েছিল আমাদের এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। সেখানে গুরুত্ব দিয়ে যাকে প্রচার করা হয়েছিল, তিনি হলেন ওই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েম। এবং তাকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণে এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছিলেন নাহিদ ইসলাম। যিনি একসময় এই সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এবং তারপর সেখান থেকে পদত্যাগ করে এসে এনসিপি গঠন করেছেন।
তিনি বলার চেষ্টা করেছেন যে আসলে তাকে (সাদিক কায়েম) যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সে ততটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না এবং এমনকি তিনি সমন্বয়কও ছিলেন না। সমন্বয়ক তো সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল, সাদিক সমন্বয়কও ছিলেন না। যে লোক সমন্বয়কও ছিলেন না, তাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার অর্থ কি?
এফপি/ টিএ