৫ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ৭৫.৪০ গড়ে ৭৫৪ রান! অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে শুভমান গিলের আছে চারটা সেঞ্চুরিও। তবে ইংল্যান্ড সফরে ভারতের অধিনায়কের চেয়ে রবীন্দ্র জাদেজাকে এগিয়ে রাখছেন অজয় জাদেজা। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের চোখে ইংল্যান্ডে বিপক্ষে গিলের চেয়েও বেশি ধারাবাহিক ছিলেন জাদেজা।
সবশেষ কয়েক বছরে দেশের বাইরে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছিল জাদেজার। তবে ইংল্যান্ড সফরে সব সমালোচনাকে তুঁড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে বাঁহাতি স্পিনারের শিকার মাত্র ৭ উইকেট। বল হাতে আলো ছড়াতে না পারলেও ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত।
৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে ৮৬ গড়ে ৫১৬ রান করেছেন, একটা সেঞ্চুরির সঙ্গে পাঁচটা হাফ সেঞ্চুরিও আছে জাদেজার। যেখানে বেশ কয়েকটি ইনিংস আছে যা ভারতকে ম্যাচ জেতাতে কিংবা সিরিজে ভারতকে টিকিয়ে রাখতে বড় অবদান রেখেছে। লর্ডসে হার যখন খুব কাছে তখন জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে নিয়ে ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখান জাদেজা। যদিও শেষের দুর্ভাগ্যে ২৭ রানে হারতে হয়েছে তাদেরকে।
ম্যানচেস্টারও ভারতের ড্রয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন জাদেজা। লোকেশ রাহুল ও গিল ফেরার পর দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। তাদের দুজনের সেঞ্চুরিতেই অবিশ্বাস্য এক ড্র নিয়ে ওভালে যায় সফরকারীরা। সিরিজের শেষ টেস্টেও পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস আছে তাঁর। প্রায় সব টেস্টেও নিয়মিত রান পাওয়া জাদেজা তাই ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের কাছে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে।
ভারতের ওভাল টেস্ট জয়ের পর দ্য অবজারভারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অজয় জাদেজা বলেন, ‘আমার মনে হয় সে (রবীন্দ্র জাদেজা) শুভমান গিলের চেয়েও ধারাবাহিক ছিল। আপনি যদি তাঁর চারটা ইনিংস দেখেন সেগুলোতে সে আউট হয়নি, অন্যপ্রান্তের ব্যাটাররা আউট হয়েছে। পুরো সিরিজে সে মাত্র দুটো ইনিংসে দ্রুত আউট হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যদি তাঁর মুহূর্তগুলো মনে করার চেষ্টা করি তাহলে সেটা লর্ডস থেকে শুরু হবে। যেখানে আপনি জিততে পারতেন না কিন্তু সে এবং সিরাজ দারুণভাবে লড়াই করেছে। পরিবর্তনটা সেখানেই দেখা গেছে। সে পরের ম্যাচেও হাল ধরেছে এবং ম্যাচ ড্র করেছে। এমনকি সে শেষ ম্যাচেও রান করেছে।’
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন জাদেজা। আপাতত ওয়ানডে কিংবা টেস্ট খেলা না থাকায় অবসর সময় পার করতে হবে তাকে। কারণ ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাবনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি।
এফপি/ টিএ