বলিউডে এখন আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ‘সাইয়ারা’। ট্রেলার, টিজার কিংবা আইটেম গানেও ছিলো না তেমন কোনো সাড়া; ছিলো না তেমন প্রচারণাও। এমনকি ছবিতে ছিলেন না কোনো বড় তারকাও; তবুও সিনেমাপ্রেমীদের মুখে মুখে ‘সাইয়ারা’।
সিনেমাটির মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে রাতারাতি একটি সিনেমার সফলতার সাক্ষী থাকল দর্শক। এক লাফে ৩০০ কোটির ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছে ‘সাইয়ারা’। বলিউডে পা রাখা নবাগত আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডাকে নিয়ে মোহিত সুরি পরিচালিত এই রোম্যান্টিক ছবিটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। তবে সিনেমাটির ক্লাইম্যাক্স নিয়ে চলছে এখন জোর চর্চা। বলা হচ্ছে, সিনেমাটির ক্লাইম্যাক্স লিখতে গিয়ে নাকি চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়েছিলেন চিত্রনাট্যকাররা।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র বিশ্লেষক কমল নাহতাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘সাইয়ারা’ ছবির লেখক সংকল্প সদানাহ এবং রোহন শঙ্কর মজার ছলেই জানালেন এসব কথা।
সংকল্প বলেন, “ছবির পুরো গল্প লিখে ফেললেও আমরা ক্লাইম্যাক্সটা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম। কীভাবে গল্প শেষ হবে, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তখন আমার সহকারী চেতন নাইডু মজা করেই চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞাসা করেন- ‘মোহিত সুরি হলে কীভাবে এমন ছবি শেষ করতেন?’ চ্যাটিজিপিটি জানিয়ে দেয়, ‘নায়ক ও নায়িকা দুজনেরই মৃত্যু হওয়া উচিত!”
এই ঘটনাকে নিছক মজা হিসেবে নিলেও মোহিত সুরিও তখন ভাবছিলেন ট্র্যাজেডির দিকেই গল্প আগাবে। কারণ ছবির নায়িকার শারীরিক অবস্থাও সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ একদিন ট্র্যাফিকে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎই সংকল্পের মাথায় আসে সিনেমার সেই ‘হ্যাপি এন্ডিং’। আর সেই ভাবনাই পরে রূপ নেয় বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় প্রেমের ক্লাইম্যাক্সে।
‘সাইয়ারা’ ইতোমধ্যেই ভারতের বাজারে ৩০০ কোটি রুপির ওপরে আয় করেছে। বিশ্বজুড়ে ছবির মোট আয় ছুঁয়েছে ৫০০ কোটির ঘর। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ছবিটি ‘পাঠান’-এর গ্লোবাল বক্স অফিস রেকর্ডও ছাপিয়ে যাবে এই সিনেমা।
এসএন