টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে গত বছর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) আসর। সিলেটের মাটিতে হওয়া সেই টুর্নামেন্ট বেশ আলোড়নও তুলেছিল। গত আসরটি সফলভাবে আয়োজনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবারও সেই পথে হাঁটতে চলেছে।
গত আসরের পর দর্শক-সমর্থকদের পাশাপাশি ক্রিকেটারদেরও বড় চাওয়া ছিল দ্বিতীয় আসরে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এনসিএলের দ্বিতীয় আসর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। তার আগে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিসিবি। টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলছেন, ‘সব সুযোগ-সুবিধা আমরা ভালো দিতে চাই। গতবার ওদের ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার, সেটা আমরা ৪০ হাজার করেছি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি।’
বরিশাল বিভাগের নেতিবাচক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আকরাম খান বলেন, ‘আজকে দলের নির্বাচক ও প্রত্যেক বিভাগের ম্যানেজারদের ডেকেছি। বরিশাল নিয়ে একটা নেতিবাচক সংবাদ এসেছিল। আমরা আলোচনা করেছি যেন এরকম কিছু আর না আসে।’ ম্যানেজার, কোচ ও অধিনায়ক নিয়ে সন্তুষ্ট নন বরিশাল বিভাগের খেলোয়াড়রা। যা নিয়ে তাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব আছে বলেও জানা গেছে। ওই সময়ই বিসিবি দ্রুত সেটি সমাধানের কথা জানায়।
এদিকে, এনসিএলের প্রতিটি দলকে সরঞ্জাম নিশ্চিত করা নিয়ে আকরাম খান জানান, ‘খেলোয়াড়দের অনেকে অন্যান্য দলের হেলমেট পরে খেলে। আমরা এবার প্রত্যেক দলকেই হেলমেট দিচ্ছি। পুরো টুর্নামেন্ট শৃঙ্খলার সঙ্গে করতে চাই। ক্রিকেটটা এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে সাপোর্ট করতে হবে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ ছাড়া খেলোয়াড়দের গণমাধ্যমে কথা বলা নিয়ে বিসিবির এই পরিচালকের ভাষ্য, ‘স্পন্সর প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব আছে, ওদের কী করা উচিত খেলোয়াড়দের জন্য সেটা আলোচনা হয়েছে। খেলোয়াড়দের গণমাধ্যমে কথা বলার শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবকিছু যেন সঠিকভাবে চলে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার চেষ্টা করছি। হয়তো এই বছরেই পারব না, তবে আস্তে আস্তে সম্ভব।’
এফপি/টিএ