সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, আগে আমার মনে হতো অন্তর্বর্তী সরকার তিন-চার বছরের আগে নির্বাচন দেবে না। এখন মনে হয় তিন-চার বছর এই সরকার টিকবে কিনা সন্দেহ। তিনি বলেন, ড. ইউনূস পশ্চিমা বিশ্বে চলেছেন, সেখানের অনেক সংস্কৃতি দ্বারা তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন যেগুলো তিনি এখানে বাস্তবায়ন করতে চাইবেন। কিন্তু তিনি যে এতটা ব্যর্থ হবেন তা বুঝতে পারিনি।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, আমরা উপন্যাসে পড়েছি— রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। বাংলাদেশে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে। শাহবাগ বন্ধ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোন কথা নেই; উনার বাসার সামনে ঘেরাও করা হয়েছে, উনার কোন বক্তব্য নেই; এনবিআর বন্ধ, উনার কোন উদ্যোগ নেই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মধ্যে একটা উথাল-পাথাল সব জায়গায় চলছে। কাঁঠাল বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা; রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিক; সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পুলিশের একজন কনস্টেবল; কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশের আইজি সবার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিটি মানুষের অন্তরে মবের আতঙ্ক তাড়া করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ভেবেছিলাম মবটা বোধয় বন্ধ হয়ে গেছে বা নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময় দেখলাম কয়েকটা থানা আক্রমণ হলো, তারপরে খুলনার মতো একটা শহরে সেখানে একজন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় সেখানে তালা দিয়ে দেওয়া হল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছেন, অধ্যাপক হিসেবে তিনি খুবই নামকর একজন অধ্যাপক। আমি মনে করি এই সময়ে বাংলাদেশে শিক্ষাদীক্ষা-পোশাক আশাকে যে কয়েকজন নামকরা অধ্যাপক রয়েছেন তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন্যতম। তার মতো মানুষ যে অপমানিত হলেন, লাঞ্ছিত হলেন এবং তাকে যেভাবে মব তৈরি করা হলো; আমার কাছে মনে হয়েছে ১০ মাস আগে যে পরিস্থিতি ছিল এখন তার চেয়ে খারাপ হয়ে গেছে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, গত ১০ মাসে ড. ইউনূসের যে অভিজ্ঞতা হওয়া দরকার ছিল, তার প্রতি যে নির্ভরতার দরকার ছিল এবং তাকে যতটা পেশাদারভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করা উচিত ছিল, তিনি এলোমেলো করে ফেলেছেন।
এখন তিনি কী বলছেন তিনি নিজেও জানেন না। আমি তো এখন পর্যন্ত উনার একটা কথা বুঝতে পারিনি।
এসএন