এনসিএল টি-টোয়েন্টির তৃতীয় আসরে বাড়ছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি। ম্যাচ প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আরও কিছু উদ্যোগের কথা ভাবছে সংস্থাটি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে শৃঙ্খলা ফেরাতেও উদ্যোগী হচ্ছে বিসিবি।
আজ (৭ আগস্ট) টুর্নামেন্ট কমিটির মিটিং শেষে এসব কথা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
বাংলাদেশের স্লো এবং লো উইকেট নিয়ে সমালোচনা বিশ্বজুড়ে। এবারের এনসিএলে তাই ভেন্যুর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বিসিবি। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে সিলেট, বগুড়া এবং রাজশাহীর উইকেটকে বেছে নেয়া হয়েছে টুর্নামেন্টের জন্য। মূলত ভালো উইকেটে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতেই এমনটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। এ প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘আমরা ভালো উইকেটে খেলাতে চাই, টি-টোয়েন্টিতে যেমন রান হয়। সেই জিনিসটা আমাদের মাথায় আছে।’
এনসিএলের গত আসরে ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার। এবার ম্যাচ ফি তার থেকে অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে অন্যান্য সুবিধাও বাড়ানোর, ‘সব সুযোগ-সুবিধা আমরা ভালো দিতে চাই। গতবার ওদের ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার, সেটা আমরা ৪০ হাজার করেছি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও আমরা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশৃঙ্খলার চিত্র এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে এবারের এনসিএলে এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকছে বিসিবি। আকরাম বলেন, ‘আজকে দলের নির্বাচক ও প্রত্যেক বিভাগের ম্যানেজারকে ডেকেছি। বরিশাল নিয়ে একটা নেতিবাচক সংবাদ এসেছিল। আমরা আলোচনা করেছি যেন এরকম কিছু আর না আসে।’
প্রত্যেক দলের নিজস্ব সরঞ্জাম এবং স্টাফ তৈরির মাধ্যমে পেশাদার পরিবেশ সৃষ্টির দিকেও বিসিবির নজর আছে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘অনেকে অন্য দলের হেলমেট পরে খেলে। আমরা এবার প্রত্যেক দলকেই হেলমেট দিচ্ছি। পুরো টুর্নামেন্ট শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে চাই। ক্রিকেটটা এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে সাপোর্ট করতে হবে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গতকাল (৭ আগস্ট) এনসিএলকে সামনে রেখে বিসিবিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে টুর্নামেন্ট কমিটির মিটিং। বিসিবি পরিচালকদের পাশাপাশি সেখানে ছিলেন বিভিন্ন দলের নির্বাচক এবং ম্যানেজাররা। লম্বা মিটিং শেষে বেরিয়ে খেলোয়াড় এবং দায়িত্বশীলদের নিয়ে বেশকিছু নতুন রীতি প্রণয়নের কথা জানান আকরাম।
তিনি বলেন, ‘স্পন্সরদেরও দায়িত্ব আছে, ওদের কী করা উচিত খেলোয়াড়দের জন্য সেটা আলোচনা হয়েছে। খেলোয়াড়দের গণমাধ্যমে কথা বলার শৃঙ্খলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
সবকিছু যেন সঠিকভাবে চলে, যেটা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে সেটা করার চেষ্টা করছি। হয়ত এই বছরই পারব না, তবে আস্তে আস্তে চেষ্টা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন নিয়েও। তবে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘বিসিবির নির্বাচন সম্পর্কে আমার কোনো আইডিয়া নেই। আমি জানি না।’
এমকে/টিকে