মাস খানেকের ব্যবধানে কানাডার দুইবার হামলার শিকার হয়েছে কপিল শর্মার ক্যাফে। আর এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং, এমনটাই বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
কপিলের ক্যাফেতে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হামলার কারণ হিসেবে শোনা গেছে সালমান খানের নাম। কপিল শর্মার শোতে ভাইজানকে আমন্ত্রণ করার কারণেই নাকি কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফে বন্দুকবাজের টার্গেটে রয়েছেন।
গত ৯ জুলাই রাতে হঠাৎই একটি গাড়িতে করে একদল দুষ্কৃতীকারী আসে। তারপরই সদ্য শুরু হওয়া কপিলের ক্যাফে লক্ষ করে অতর্কিতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। সেই হামলার দায় নিয়েছিল খলিস্তানি জঙ্গি হরজিৎ সিং লাড্ডি।
খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যুক্ত ওই সন্ত্রাসবাদী।
মাসখানেক কাটতে না কাটতেই এরপর গতকাল ৭ আগস্ট আবারও বন্দুকবাজের টার্গেটে কপিলের ক্যাফে। এবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ধিঁলো। সে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।
সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, ওই অডিও ক্লিপে যার গলা শোনা যাচ্ছে সে আসলে বিষ্ণোই গ্যাংস্টার হ্যারি বক্সার। সব পরিচালক, প্রযোজক শিল্পীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিচ্ছে সে। বলছে, “যদি কেউ সালমান খানের সঙ্গে কাজ করেন তবে তিনি নিজেই নিজের মৃত্যুর কারণ হবেন। আমরা তাকে খুন করার জন্য যা প্রয়োজন তাই করব।
সরাসরি তার বুকে গুলিও চালানো হতে পারে।
এরপর কপিল শর্মার ক্যাফেতে বারবার গুলি প্রসঙ্গে ওই গ্যাংস্টার আরো বলেন, “নেটফ্লিক্সের শো-তে সালমানকে আমন্ত্রণের মাসুল গুনতে হচ্ছে কপিল শর্মাকে। সে কারণেই তার ক্যাফেতে বারবার গুলি চালানো হচ্ছে।”
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে সালমানের শত্রুতা কারোই অজানা নয়। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় ভাইজানের। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে ‘শত্রুতা’।
তারপর থেকেই লাগাতার হুমকি পাচ্ছেন এই বলিউড অভিনেতা।
এমকে/এসএন