যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ভুয়া নার্স সেজে কাজ করার অভিযোগে একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই নারী প্রায় সাড়ে চার হাজার রোগী দেখেছেন।
এমনকি ভুয়া নার্স হিসেবে কাজ করার সময় তিনি পদোন্নতির প্রস্তাবও পেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসাসেবা দেওয়ার এবং প্রতারণার বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২৯ বছর বয়সী অটাম বারডিসা নামের এই নারী ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৪৮৬ জন রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজেকে নিবন্ধিত নার্স পরিচয়ে ফ্ল্যাগলারের অ্যাডভেন্টহেলথ পাল্ম কোস্ট পার্কওয়েতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চাকরি করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার প্রমাণপত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলে তার চুক্তি বাতিল হয় এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পরে জানা যায়, তিনি অন্য একজন নার্সের লাইসেন্স নম্বর ব্যবহার করেন। কারণ ওই নার্সের প্রথম নামের সঙ্গে তার নামের মিল রয়েছে। বারডিসা দাবি করেছিলেন, বিয়ের পর তিনি নাম পরিবর্তন করেছেন। তবে বিয়ের সনদ দেখাতে বলা হলেও তিনি তা দেননি।
মূলত চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাকে পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখনই এক সহকর্মী খেয়াল করেন, বারডিসার নার্সিং সহকারী লাইসেন্সটি আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এরপর সাত মাস ধরে তদন্ত চলে।
পরে গত ৫ আগস্ট চিকিৎসকের পোশাক পরে থাকার সময় বারডিসাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার সাতটি করে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফ্ল্যাগলার কাউন্টির শেরিফ রিক স্ট্যালি বলেন, “এই ঘটনাটি চিকিৎসা বিষয়ক প্রতারণার সবচেয়ে উদ্বেগজনক একটি ঘটনা। এই নারী হাজার হাজার মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছেন।”
এদিকে যারা মনে করছেন বারডিসার চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন, তাদের জন্য একটি ই-মেইল চালু করেছে স্থানীয় শেরিফ অফিস। বর্তমানে তিনি শেরিফ পেরি হল ইনমেট ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন। তার জামিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
এফপি/টিএ