২০২৫ আইপিএলের পর্দা নেমেছে মাস দুয়েক আগে। এরই মধ্যে পরবর্তী সংস্করণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি। নিলাম ছাড়াও ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর সুযোগ রেখেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী আসরের আগে আলোচনায় রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। গুঞ্জন উঠেছিল, দীর্ঘ দিনের ডেরা ছাড়তে পারেন ভারতীয় এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
স্যামসন এবার প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজস্থান শিবির ছাড়তে চান। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছে না তার। যদিও রয়্যালস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সঞ্জুকে ছাড়া হবে না।
২০১২ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন সঞ্জু। প্রথম বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সে থাকলেও সেভাবে খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৩ সালে তাকে দলে ভেড়ায় রাজস্থান। প্রথম দফায় ৩ মৌসুম রাজস্থানের হয়ে খেলেন। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে।
এরপর ২০১৮ সালে তাকে আবারও কিনে নেয় রাজস্থান। তারপর থেকেই রাজস্থানের মুখ হয়ে উঠেছেন সঞ্জু। ২০২১ সালে তাকে অধিনায়ক করা হয়। তার অধিনায়কত্বে ২০২২ সালে ফাইনালে ওঠে রাজস্থান। ২০২৪ সালেও দলকে প্লে-অফে তোলেন সঞ্জু।
কিন্তু গত আইপিএল থেকেই রাজস্থান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সমস্যা শুরু হয় সঞ্জুর। সাধারণত উদ্বোধনীতে ব্যাট করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সঞ্জু। কিন্তু গত মৌসুমে যশস্বী জয়সওয়াল এবং বৈভব সূর্যবংশীর ওপেনিং জুটি বেশ সফল হয়। বাধ্য হয়ে ব্যাটিং অর্ডার পাল্টাতে হয় সঞ্জুকে। এমনকি টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গেও তার মতানৈক্যের খবরও পাওয়া গিয়েছে। সবমিলিয়ে সঞ্জু চাইছেন না রাজস্থানে আর থাকতে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজস্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সঞ্জু-সহ অন্য কোনো ক্রিকেটারকেও এই মুহূর্তে সরাসরি বিক্রি করা হবে না। সঞ্জুকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেই দেখা হয়। ও-ই দলের ক্যাপ্টেন।” কিন্তু এই বার্তা প্রকাশ্যে আসার পরদিনই খবর ছড়ায়, অফিসিয়ালি রাজস্থান ছাড়ার আবেদন জানিয়ে ফেলেছেন সঞ্জু। নিলাম হোক বা ট্রেডিং-যেকোনো ভাবে রাজস্থান ছাড়তে চান তিনি।
তার ঘনিষ্ঠমহলের মতে, রাজস্থান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যেভাবে সঞ্জুর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে, তাতে তিনি আর দলের সঙ্গে থাকতে চান না। দু’পক্ষের এই দড়ি টানাটানি শেষ পর্যন্ত কতদূর যায়, নজর ক্রিকেটমহলের।
এসএন