ঘরের মাঠে আগামী নভেম্বরে অ্যাশেজ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে সেই সিরিজ জিতবে অজিরা, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ছয়বারের অ্যাশেজ জয়ী অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা।
বিবিসি রেডিও লাইভ ৫-এ ম্যাকগ্রা বলেছেন, ‘আমার পক্ষে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই বিরল, তাই না? এবারও আলাদা কিছু বলবো না, ৫-০।’ ম্যাকগ্রা’র জন্য এমন ভবিষ্যদ্বাণী নতুন কিছু নয়। প্রতিটা অ্যাশেজ সিরিজের আগেই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ম্যাকগ্রা।
এর আগে ২০২৩ সালেও এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার। তবে সে সিরিজ অবশ্য ড্র হয়েছিল ২-২ ব্যবধানে এবং শিরোপা ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।
২০১৫ সালের পর অ্যাশেজ জেতা হয় না ইংল্যান্ডের। এর মধ্যে দুবার তারা হেরেছে এবং দুবার ড্র করেছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় তো তাদের রেকর্ডও আরও খারাপ। ২০১০-১১ মৌসুমের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো টেস্ট জেতেনি ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান বোলিং ইউনিট নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ম্যাকগ্রা। ‘আমাদের দল নিয়ে আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী। যখন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড এবং নাথান লায়ন ঘরের মাঠে ভালো খেলবে, তখন এটা অনেক কঠিন। তা ছাড়া ইংল্যান্ডের ডে রেকর্ড আছে, দেখা যাক তারা কোনো টেস্ট জিততে পারে কি না।’
এর আগে ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল ইংল্যান্ড। শেষ ১৫ টেস্টে মাত্র দুবার হেরেছে অজিরা, জিতেছে ১১টি এবং ড্র করেছে দুটি।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ইউনিট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ম্যাকগ্রা। বিশেষ করে তার চিন্তা টপ-অর্ডার নিয়ে। উসমান খাজা, ক্যামেরুন গ্রিন, মার্নাস লাবুশেনরা নেই ফর্মে।
তবে ম্যাকগ্রা’র মতে, মূল লড়াইটা হবে ইংল্যান্ডের ব্যাটার আর অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে। তবে হ্যারি ব্রুক ও জো রুটকে মূল খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন ম্যাকগ্রা। ‘এই সিরিজ রুটের জন্য বড় কিছু হতে পারে। সে কখনো অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে পারেনি, এমনকি সেঞ্চুরিও নেই। তাই সে নামতে উদগ্রীব হয়ে থাকবে। সে ভালো ফর্মে আছে।’
হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ম্যাকগ্রা বলেন, ‘ব্রুককে আমি দেখতে পছন্দ করি। সে নিজের মতো খেলে, চ্যালেঞ্জ নেয়। অস্ট্রেলিয়াকে তাকে শুরুতেই চেপে ধরতে হবে।’
তবে ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক খেলার ধরন পছন্দ করেন ম্যাকগ্রা। ‘আমি খেলোয়াড়দের ভয় ছাড়াই খেলতে দেখতে পছন্দ করি। এটাই বাজ (ম্যাকলালাম) এই ইংল্যান্ড দলে আনতে চাইছে, ভয়হীন খেলা। আমি চাই ওরা আরও কিছুটা দায়িত্বশীলতা আর মানসিক দিক থেকে একটু বেশি সচেতন হোক।’
এফপি/টিএ