জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজা সম্পূর্ণ দখলের জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
তুর্ক বলেছেন, এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরিপন্থী। ইসরায়েলকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
গত বছরের জুলাই মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে, আন্তর্জাতিক আদালত পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে বেআইনি ঘোষণা করে এবং ইসরায়েল জাতিগত বিভেদ এবং বর্ণবাদের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে বলে রায় দেয়। তুর্ক আরও বলেন, ইসরায়েলকে মানবিক সাহায্যের পূর্ণ, নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ অনুমোদন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিঃশর্তভাবে তাদের বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। ইসরায়েলেরও যথাযথভাবে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
ইসরায়েলি নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা শুক্রবার (৮ আগস্ট) গাজা নগরী দখলের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে। যদিও সেনাপ্রধান আয়াল জামির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তবুও মন্ত্রিসভা সেই বিকল্প পরিকল্পনা নাকচ করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেই হামলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আগামী ৭ অক্টোবর প্রথম ধাপ শুরু হবে।
নেতানিয়াহুর এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এই পদক্ষেপকে ‘ভুল’ বলে মন্তব্য করে অবিলম্বে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।স্টারমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘গণহত্যামূলক ও সম্প্রসারণবাদী নীতি’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
ইউটি/টিএ