বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকশ্রেণি সবচেয়ে বেশি জীবন দিলেও তাদের মানবিক উপযুক্ত মজুরি ও অধিকার নিশ্চিত হয়নি। গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্র করে তাদের স্বপ্ন-আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। পুরানো সরকারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও মালিকদেরকে তুষ্ট করতেই ব্যস্ত রয়েছে।
শুক্রবার (০৮ আগস্ট) সকালে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর : শ্রমিক- মেহনতিদের অধিকারের প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক শিগগিরই গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণ, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, আপদকালীন ব্যবস্থা হিসাবে মহার্ঘ ব্যবস্থা চালুর আহবান জানান। এ ছাড়া বন্ধ কারখানা চালু করা এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম কাজ হবে তাদেরকে যাবতীয় পক্ষপাতদুষ্টতা ও বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে বেরিয়ে আসা। সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানও সম্ভব হবে না। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এ সাধারণ সম্পাদক প্রধান উপদেষ্টার সেরা নির্বাচনের জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি আরপিও চূড়ান্ত করার আগে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের আহবান জানান।
বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনছার আলী দুলাল, সংগঠনের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ আলী, হালিম ভূইয়া, আবু হানিফ প্রমুখ।
তারা সরকারকে কোনো অংশের প্রতি ঝুঁকে না থেকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অবিচল থাকার আহ্বান জানান।
সভার শুরুতে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ইউটি/টিএ