১৫ আগস্টে কোনো শোক মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ শনিবার (৯ আগস্ট) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এমনটা জানান তিনি।
পিনাকী লিখেছেন, ‘১৫ আগস্টে কোনো শোক মিছিল করতে দেওয়া হবে না। ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বার অভিমুখে যেই মহাপুরুষই আসুক বা আসার চেষ্টা করুক, পরিণতি ভালো হবে না।
মাইন্ড ইট। ঢাকা শহরকে আরেকটা যুদ্ধক্ষেত্র বানাইয়েন না। মেহেরবানি করে।’
পিনাকী আরো লিখেছেন, ‘মনে রাখবেন ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বার ফ্যাসিবাদের তীর্থস্থান।
ফ্যাসিবাদের তীর্থস্থানের যেকোনো গ্লোরিফিকেশনের প্রচেষ্টাকে সর্বশক্তি দিয়ে জনগণ রুখে দেবে। কোনো কন্সিকুয়েন্সের কথা চিন্তা না করেই। ইনকিলাব আভিতক জিন্দা হ্যায়।’
‘ধানমণ্ডি ৩২’ অভিমুখে যাত্রা করবে ‘৭১ মঞ্চ’, সম্প্রতি এমন একটি বিষয় ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ‘৭১ মঞ্চ’ ব্যানারে ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যাচ্ছেন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে জেড আই খান পান্না এই দাবি অস্বীকার করেছেন। গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘৭১ মঞ্চের নামে ড. কামাল হোসেন ও আমার নাম যুক্ত করে ১৫ আগস্টে ৩২ নম্বরে যাওয়ার কথা বলা সঠিক নয়।’
গত বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনটি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। তবে ২০০২ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি ছুটির সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত তিনজন আইনজীবী রিট করলে হাইকোর্ট বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। সে রায়ের ফলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন এবং সরকারি ছুটির সিদ্ধান্ত বহাল হয়েছিল।
এমকে/টিএ