ভাইবোনের বন্ডিং চিরকাল ছায়াছবির জনপ্রিয় বিষয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ভাইবোনের রসায়ন নিয়ে গল্প বলার ধরন। আজ রাখীপূর্ণিমার দিন ভাইবোনের গল্প বলে এমন পাঁচ বলিউডের সেরা ছবির কথা।
হরে রাম হরে কৃষ্ণ (১৯৭১): বাবা-মায়ের বিচ্ছেদে আলাদা হয়ে যায় তাদের দুই সন্তান। দাদা আর বোনের ভাগ্যবদলে যায় সম্পূর্ণ। দাদা প্রশান্ত বড় হয়ে পাইলট হয় আর বোন জসবীর চলে যায় কুপথে। হিপ্পিদের সঙ্গে মিশে নেশার জগতে চলে যায় সে। কিন্তু দাদার মনে ছোট্ট বোনের জায়গা চিরকাল ছিলই। জসবীর নাম বদলে হয়ে গিয়েছে জ্যানিস। জ্যানিসের তার শৈশবের কোনও স্মৃতি নেই, এবং সে সবসময় হিপ্পিদের সাথে মদ্যপান এবং মাদক সেবন করে বেশিরভাগ সময় কাটায়। দাদা শেষ অবধি উদ্ধার করে বোনকে। দেব আনন্দের পরিচালনায় দেব আনন্দ নিজে ও জিনাত আমনের চির অমর ছবি 'হরে রাম হরে কৃষ্ণ'।
ফিজা (২০০০): 'ফিজা' ছবিটি ছিল হৃত্বিক রোশনের দ্বিতীয় ছবি। ব্লকব্লাস্টার হিট প্রথম ছবি 'কাহো না প্যায়ার হ্যায়' র পর 'ফিজা'র মতো অন্যধারার ছবি করেন হৃতিক রোশন। ফিজা এক দিদির গল্প। ফিজার চরিত্রে করিশমা কাপুর। ফিজা তাঁর ভাইকে খুঁজে বেড়ায়। যে ভাই ১৯৯৩ সালের দাঙ্গায় হারিয়ে গিয়েছিল। করিশমা আর হৃতিকের মায়ের ভূমিকায় জয়া বচ্চন। যদিও এই ছবিটি সেভাবে বক্সঅফিসে হিট করেনি।
মাই ব্রাদার নিখিল (২০০৫): এই ছবি এক সাঁতারু নিখিলের গল্প। যার জীবন বদলে যায় হঠাৎ এইডস রোগ ধরা পড়ায়। এই ছবির গল্প এগোয় দিদি আর ভাইয়ের পারস্পরিক নির্ভরতা নিয়ে। এইডস আক্রান্ত ভাইয়ের পাশে দাঁড়ায় দিদি। এমনকি যখন বাবা-মাও ছেলেটির পাশে দাঁড়ায়না, তখনও দিদি ভাইয়ের পাশে ঢাল হয়ে থাকে। দিদির ভূমিকায় জুহি চাওলা আর ভাইয়ের চরিত্রে সঞ্জয় সুরীর অভিনয় এই ছবিতে বিশাল সাড়া ফেলেছিল।
সরবজিৎ (২০১৬): ১৯৯০ সালে মাতাল হয়ে সরবজিৎ ঘটনাক্রমে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁকে ভারতীয় গুপ্তচর হিসাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। রনজিৎ সিং নামে এক ব্যক্তি লাহোর এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। বোন দলবীর ভাই সরবজিৎকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই নিয়ে এগোয় ছবির গল্প।
রাখীবন্ধন (২০২২): এই ছবি বড়দা আর চার বোনের গল্প। দাদা এই ছবিতে বাবা আর মা দু'জনের ভূমিকাই পালন করে বোনেদের উপর। মায়ের কাছে বড়দা অক্ষয় কুমার প্রতিজ্ঞা করে চার বোনকে বিয়ে দিয়ে নিজেদের ঘর খুঁজে দিয়েই তবে দাদা বিয়ে করবে। বড়দার ত্যাগ নিয়ে আটপৌরে গল্প।
এফপি/টিএ