অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও, ভারত সরকারের কাছ থেকে এখনো কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং দিল্লিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি ওঠে। একই বছরের ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
পরে ১৩ নভেম্বর প্রসিকিউশন ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির উদ্যোগ নেয়। আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে গেল ডিসেম্বর মাসে প্রথমবার ভারতের কাছে নোট ভারবাল পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৩ ডিসেম্বর দিল্লি তা গ্রহণ করলেও এর পর থেকে কোনো জবাব মেলেনি। একাধিকবার তাগাদা দেওয়ার পরও ভারত সরকার নীরব রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা চেয়েছি তাকে ফেরত দেওয়া হোক, যাতে বিচারের সম্মুখীন করা যায়। ভারত থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি, তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কেউ আসুক বা না আসুক, সেজন্য বিচার থেমে থাকে না।”
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ কতবার চিঠি দিয়েছে তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে—ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে কি না। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরানো সম্ভব কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
এমআর/টিকে