টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডের লড়াইটাও জয় দিয়ে শুরু করেছে পাকিস্তান। ক্যারিবীয়দের ২৮০ রান তাড়ায় পাকিস্তান ৫ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে জেতে। যেখানে ৫১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ওয়ানডেতে পূর্ণ সদস্য দেশের বোলারদের মধ্যে ন্যূনতম ১০০ উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট তার।
এতদিন রেকর্ডটি ছিল ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামির দখলে। ১০৮ ম্যাচ খেলে তিনি ২০৬ উইকেট নিয়েছেন। যেখানে শামির স্ট্রাইকরেট ২৫.৮। গতকাল ৬৫ ওয়ানডেতে ১৩১ উইকেট নেওয়া ম্যাচের পর শাহিনের স্ট্রাইকরেট ২৫.৪। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা মিচেল স্টার্ক। বাঁ-হাতি এই পেসারের স্ট্রাইকরেট ২৬.৬৮। ১২৭ ওয়ানডেতে স্টার্ক ২৪৪ উইকেট শিকার করেছেন।
অবশ্য ওয়ানডে ইতিহাসে সবমিলিয়ে সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট থাকা বোলারদের মধ্যে শাহিন পঞ্চম। যদিও তার ওপরে থাকা বোলারদের মধ্যে মাত্র একজন ১০০ উইকেট পেয়েছেন। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট (২৩.৪) অস্ট্রেলিয়ার রায়ান হ্যারিসের, ২১ ম্যাচে তার শিকার ৪১ উইকেট।
এই তালিকায় এরপর যথাক্রমে আছেন– শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কা (২৬ ম্যাচে ৪৫ উইকেট, স্ট্রাইকরেট ২৪.৫), নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন (৪৯ ম্যাচে ৬০ উইকেট, স্ট্রাইকরেট ২৪.৭) ও ওমানের বিলাল খান (৪৯ ম্যাচে ১০১ উইকেট, স্ট্রাইকরেট ২৪.৮)।
পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য বলা হয় পাকিস্তানকে। অসংখ্য পেস কিংবদন্তির জন্ম দেওয়া দেশটির বর্তমান আইকন শাহিন আফ্রিদি। গতির সঙ্গে সুইং ও সিম মুভমেন্টে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা রয়েছে। শাহিন যদি পরের ম্যাচে উইকেট না-ও পান, তাহলে অসুবিধা নেই।
তবে ৬৭তম ম্যাচে তাকে ন্যূনতম দুটি বা এর বেশি উইকেট পেতে হবে। নইলে সেরা স্ট্রাইকরেট চলে যাবে স্টার্কের দখলে।
প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮০ রান তোলে এভিন লুইসের ৬০, শাই হোপের ৫৫ ও রোস্টন চেজের ৫৩ রানে ভর করে। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন শাহিন আফ্রিদি। সফরকারীদের পক্ষে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাসান নওয়াজ ৬৩ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৩ রান করেন। এ ছাড়া বাবর আজমের ৪৭ ও হুসাইন তালাত ৪০ রান করলে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।
আজ (রোববার) হবে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
এমআর/টিকে