রাজশাহীতে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে গান গাইলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভগ্নিপতি কণ্ঠশিল্পী গৌরব হোসেন তুষার। এ নিয়ে দলটির তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনের মঞ্চে গান পরিবেশন করতে দেখা গেছে গৌরবকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গৌরবের বাড়ি রাজশাহী শহরে। শ্বশুরবাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। সিংড়ার একজন সাংবাদিক জানান, গৌরবের স্ত্রী সেতু এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফুপাতো বোন। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে গৌরবকে ‘নগদ’-এ চাকরিও দিয়েছিলেন।
গৌরবের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, পলকের সঙ্গে তার অসংখ্য ছবি আছে। ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর গৌরব একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তার নিজের ছবির সঙ্গে লেখা আছে, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’ ছবিটিতে আওয়ামী লীগের মনোগ্রামও আছে।
২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রতিমন্ত্রী পলকের একটি ছবি পোস্ট করেন গৌরব। এই ছবির ক্যাপশনে পলককে নিয়ে লেখা একটি কবিতা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পলকের পাশে ছবি তুলে পোস্ট করতে দেখা গেছে তাকে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকও বিভিন্ন সময় গৌরবের মিউজিক ভিডিও শেয়ার করে তাকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন। তার স্ক্রিনশটও নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন গৌরব। গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে ‘প্রগতিশীল পুলিশ কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করে তার জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গৌরব।
গৌরবকে বিএনপির মঞ্চে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে জসিম উদ্দিন নামের একজন সাংবাদিক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান পরিবেশন করছেন সাবেক ছাত্রলীগকর্মী ও সাবেক মন্ত্রী পলকের বোনজামাই গৌরব হোসেন। গৌরব হোসেন একজন কট্টর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে দায়িত্বে ছিল তার। সাবেক মন্ত্রী পলকের অর্থায়নে অনেক মিউজিক ভিডিও করেছেন। কট্টর আওয়ামী লীগ সমর্থক এই গায়ককে বিএনপির সম্মেলনে মঞ্চে গান গাইতে দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে। তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে নিয়োগও নিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকতকে ফোন করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
কেএন/এসএন